এক বছরে ক্রীড়াঙ্গনে কতটুকু পরিবর্তন আসলো?

নতুন বাংলাদেশের এক বছর। এ সময় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে। এতে দু-একটা জায়গায় ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও, স্থবিরতা লক্ষ্য করা গেছে অনেক ক্ষেত্রেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেতৃত্বের বদল হলেও, অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার বিচারে যোগ্যদের সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ায় কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছায়নি ক্রীড়াঙ্গন। তবে অনেকের মতে এটা লম্বা প্রক্রিয়া, যা এক বছরেই দৃশ্যমান হওয়া সম্ভব না।
নতুন বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনেও আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। ৫ আগস্টের পর এমন সম্ভাবনা ছিলো জ্বলজ্বলে। নতুন সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয় বেশ কিছু পদক্ষেপ, তাতে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মাঝে আশার সঞ্চার হলেও, তা ফিকে হতে সময় নেয়নি খুব একটা।
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য ২৯ আগস্ট সার্চ কমিটি গঠন করে সরকার। তাদের প্রেসকিপশনে পূনর্গঠন করা হয় বেশ কিছু ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন। তবে সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত কমিটি নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। ১০ মে কার্যক্রম অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায়ই সার্চ কমিটি বিলুপ্ত করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
তৃনমূলের ক্রীড়াঙ্গনে গতি আনতে জেলা ও বিভাগীয় সংস্থাও সরকার ভেঙ্গে দিয়েছিলো দায়িত্ব নেয়ার শুরুতেই। তবে বছর পেরুলেও পরিলক্ষিত হয়নি দৃশ্যমান উন্নয়ন। বিগত দিনে যেমন স্থবির ছিলো তৃনমূলের ক্রীড়াঙ্গন, অধিকাংশ জায়গায় সেই পুরোনো চিত্রই। দক্ষ আর অভিজ্ঞ সংগঠকদের সঠিক মূল্যায়ন করতে না পারার জন্যই এই স্থবিরতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার ওয়ালী সাব্বির বলেন, 'সার্চ কমিটিতে অনেক কমিটি করেছে, কিছু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তাতে বুঝা যায়, সার্চ কমিটি দিয়ে যে লোকগুলো বাছাই করা হয়েছে তারা উপযুক্ত না।'
এদিকে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, 'খুব বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে সেটা আমি বলব না। কারণ, এখনও জেলা পর্যায়ে খেলা হচ্ছে কি হচ্ছে না সেটা আমরা জানিনা।'
গেল এক বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যতটুকু আলোচনা তার পুরোটাই ক্রিকেট, ফুটবল ঘিরে। এর বাইরে কিছুটা আলোড়ন তোলে আর্চারি। তবে বাকি ফেডারেশনগুলো ছিলো নিষ্প্রভ। বিগত সময়ে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ আরও কিছু টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজিত হলেও, এক বছরে অধিকাংশই ছিলো কার্যক্রম শূন্য।
এটা ঠিক ক্রীড়াঙ্গনে এখন আগের মতো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নেই। দলীয়করণের আবর্তেও বন্দি নয়। তবে যোগ্য ও দক্ষ সংগঠকদের নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফেডারেশনগুলোতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হলেই কাঙ্খিত অবস্থানে পৌঁছুতে পারে দেশের ক্রীড়াঙ্গন।
Comments