ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি উমর আকমলের

আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার উমর আকমল। তবে এবার মাঠের পারফরম্যান্স নয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়ে সংবাদের শিরোনামে তিনি।
এনওসি (অনাপত্তিপত্র) না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ৩৫ বছর বয়সী উমর বলেন, বারবার আবেদন করেও অনুমতি না পাওয়ায় তার পেশাদার ক্যারিয়ার ক্ষতির মুখে পড়ছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্ষুব্ধ উমর বলেন,'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে সবসময় প্রাধান্য দিয়েছি বলেই অনেক বড় বড় লিগে খেলিনি। আজ মনে হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আমি কখনো ভাবিনি, আমাকে এমনভাবে উপেক্ষা করা হবে।'
তিনি অভিযোগ করেন,'আমি জানি না, পিসিবির কোন ব্যক্তি মনে করেন আমি খেলার যোগ্য নই। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তবুও আমাকে দল থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। অথচ এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন, যারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন, শাস্তিও পেয়েছেন—তবুও তারা দলে সুযোগ পাচ্ছেন।'
উমর আরও জানান, অতীতেও এনওসি ইস্যুতে তিনি ভুগেছেন। তিনি বলেন,'একবার ১২ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত এনওসি চেয়েছিলাম, অথচ দেওয়া হয় ২০ তারিখ রাতে। এতে পুরো চুক্তি বাতিল হয়ে যায়, আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।'
সম্প্রতি আইসিসি অনুমোদিত সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত একটি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার জন্য এনওসি চাইলেও এখনও পিসিবির কোনো উত্তর পাননি বলেও অভিযোগ তার। উমর বলেন, 'যদি লিগটি আইসিসি অনুমোদিত না হতো, আমি আবেদনই করতাম না।'
পিসিবির বর্তমান প্রশাসনের প্রতি আক্ষেপ জানিয়ে বলেন,'যারা এখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তারাও একসময় ক্রিকেট খেলেছেন। তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করিনি।' উমর আকমল জানান, এখনও তার খেলার ইচ্ছা রয়েছে—পাকিস্তানের হয়ে না হোক, অন্তত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে।'আমি এখনও তরুণ, আমার সামনে সময় আছে। অনেকে আমার থেকেও বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন।'
আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়ে উমর বলেন,'যদি আমি এনওসি না পাই, তবে প্রমাণসহ মিডিয়ার সামনে আসব। মানুষ বিচার করুক। অন্তত নিজের মনে শান্তি পাব।'
প্রসঙ্গত, উমর আকমলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে রয়েছে বেশ সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। তিনি খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল)। পাকিস্তানের হয়ে ৮৪টি টি-টোয়েন্টিতে ১২২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৬৯০ রান, যার মধ্যে রয়েছে ৮টি অর্ধশতক। তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০১৯ সালে।
Comments