বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিতে ৯ জনের পিএসজি

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সম্ভবত সবচেয়ে বড় লড়াইটা হয়ে গেল পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের মাঝে। ঘটনাবহুল এই ম্যাচে জার্মান তারকা ফরোয়ার্ড জামাল মুসিয়ালার ভয়ঙ্কর ইনজুরি এবং দুইজনের লাল কার্ডে ফরাসি ক্লাবকে নয়জনের দলে পরিণত হওয়ার মতো দৃশ্য দেখা গেছে। তবে জম্পেশ এই লড়াইয়ে গোল পেয়েছে কেবল পিএসজি। বায়ার্নকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে তারা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে।
আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথমার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও গোলশূন্য ছিল বায়ার্ন-পিএসজি। পরে দেজিরে দুয়ে এগিয়ে দেওয়ার পর যোগ করা সময়ে উসমান দেম্বেলের গোলে জয় নিশ্চিত করে লুইস এনরিকের দল। তবে এর আগেই উইলিয়ান পাচো লাল কার্ড দেখায় তারা ১০ জনে পরিণত হয়। যোগ করা সময়ে আরেকটি লাল কার্ড দেখে পিএসজির লুকাস হার্নান্দেজ। টমাস মুলারের বিদায়ী ম্যাচে দু'জন কম থাকার সুযোগটাও নিতে পারেনি বায়ার্ন।
বল পজেশনে অবশ্য এগিয়ে ছিল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। ৫৫ শতাংশ বল রেখে ১৩টি শট নেয় বায়ার্ন, এর মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে ১১ শট নিয়ে সমান ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে প্যারিসিয়ানরা। এদিন ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই পিএসজি ভালো সুযোগ পায়, কিন্তু দুয়ে দারুণ পজিশন থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ষষ্ঠ মিনিটে মাইকেল ওলিসের শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। ২৭ মিনিটে তিনি ওলিসের আরও একটি জোরালো শট রুখে জাল অক্ষত রাখেন। একইভাবে ম্যানুয়েল নয়্যারও হতাশ করেন ফরাসিদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের নয়্যারের নৈপুণ্য। ডি বক্সের ভেতর থেকে ৪৯তম মিনিটে বার্কোলার কোনাকুনি শট তিনি দারুণ প্রচেষ্টায় ব্যর্থ করে দেন। এভাবে আক্রমণ অব্যাহত রেখেও ম্যাচের ডেডলক ভাঙা হচ্ছিল না কোনো দলের। ৭৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল। তরুণ ফরোয়ার্ড দুয়ে নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান। এর মাত্র চার মিনিটের মাথায় লিওন গোরেৎজকাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার উইলিয়ান পাচো। ১০ জনে পরিণত হয় পিএসজি।
সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও ফরাসি শিবিরে লাল কার্ডের হানা। এবার বায়ার্নের রাফায়েল গেরেরোর মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করে কার্ড দেখেন দুয়ের বদলি নামা লুকাস হার্নান্দেজ। তবে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী পিএসজিকে। বার্কোলার বদলি নামা দেম্বেলের শট প্রথমে ক্রসবারে বাধা পায়। এরপর আশরাফ হাকিমির পাস ধরে এই ফরাসি ফরোয়ার্ড ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
Comments