প্রতিদিন বই পড়ার ৭টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা জানুন

বর্তমান সময়ে আমাদের বেশিরভাগ সময় কাটে ডিজিটাল ডিভাইসে। তবে একটা সময় ছিল যখন বই পড়ার অভ্যাস কম-বেশি সবার ছিল। এখন অবশ্য ডিভাইসেই বই পড়েন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন বই পড়ার বিষয়ে ইতিবাচক তথ্য দিয়েছেন। তাদের মতে এই অভ্যাস শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। বিজ্ঞান বলছে পছন্দের গল্প, রহস্য, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী বা স্ব-উন্নয়নমূলক যেকোনও ধরনের বই নিয়মিত পড়া দারুণ উপকারী। এগুলো হলো:
১. দীর্ঘায়ু লাভ
ইয়েল ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট বই পড়লে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে। বিশেষ করে কল্পকাহিনীর বই মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, যা গড়ে দুই বছর পর্যন্ত আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
২. বয়সে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধরে রাখা
নিয়মিত পড়া স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত যে, যারা নিয়মিত পড়েন, তাদের বয়স বাড়লেও স্মৃতি ও চিন্তাশক্তির অবনতি তুলনামূলকভাবে ধীরে ঘটে।
৩. স্ট্রেস কমায়
কল্পকাহিনী পড়া মনের চাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটি মনকে ভালো করে, ইতিবাচক আবেগ বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদে হতাশা, দুশ্চিন্তা ও নেতিবাচক অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
৪. ঘুমের আগে মনকে শিথিল করে
ঘুমানোর আগে বই পড়া একটি দুর্দান্ত অভ্যাস। এটি ঘুমের মান উন্নত করে, দীর্ঘসময় ঘুমাতে সাহায্য করে এবং অনিদ্রা কমাতে কার্যকর। তবে মোবাইল বা ট্যাবলেট পড়া থেকে বিরত থাকা জরুরি, কারণ নীল আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
৫. স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য বোঝার দক্ষতা বাড়ায়
নিয়মিত পড়া স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য বুঝতে ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক। সঠিক স্বাস্থ্য-সচেতনতা রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৬. আইকিউ বাড়ায়
পড়ার মাধ্যমে শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয়, যা সরাসরি আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়। শিশুদের ছোটবেলা থেকে পড়ার অভ্যাস যত শক্তিশালী হয়, তাদের আইকিউ পরীক্ষায় ফলাফল তত ভালো হয়।
৭. সামাজিক দক্ষতা গড়ে তোলে
কল্পকাহিনী পড়া সহানুভূতি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। গল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতি ও চরিত্রের অভিজ্ঞতা শেখা যায়, যা বাস্তব জীবনে সামাজিক ও আচরণগত দক্ষতা উন্নত করে।
সূত্র: ভেলিওয়েল হেলথ
Comments