জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাহী কমিটিতে জামায়াতের সাথে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলটি। এজন্য দু-একদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সূত্র জানায়, নির্বাচন-কেন্দ্রিক একটি এজেন্ডা নিয়েই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, বুধবার রাতে তাদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে রাজনৈতিক জোট ও প্রার্থী তালিকা নিয়ে কথা হয়। আলোচনায় জামায়াতের সাথে জোট গঠন অথবা আসন সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আরো দুদিন অপেক্ষা করতে হবে সিদ্ধান্তের জন্য।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ জোট ও প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে জানান, ৮ দল বাদেও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। খুব দ্রুতই সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। দুই দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জামায়াতের সাথে এনসিপির জোট নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তরুণ ও ছাত্রনেতারা। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ফেসবুকে লিখেছেন, তারুণ্যের রাজনীতির কবর রচিত হতে যাচ্ছে। এনসিপি অবশেষে জামাতের সাথেই সরাসরি জোট বাঁধছে।
তিনি লেখেন, 'সারাদেশে মানুষের, নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ হাসিল করতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামাতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।'
আব্দুল কদের দাবি করেন, জামায়াতের থেকে এনসিপি চেয়েছিল ৫০ আসন, দরকষাকষির সর্বশেষ পর্যায়ে সেটা ৩০ আসনে গিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে। জোটের শর্ত অনুযায়ী এনসিপি বাকি ২৭০ আসনে কোনো প্রার্থী দিতে পারবে না, সেগুলোতে জামায়াতকে সহযোগিতা করবে এনসিপি।
Comments