রোমে ঢাকা যুব ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল টুর্নামেন্টের জমজমাট ফাইনাল: চ্যাম্পিয়ন বিডি রোমা
প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের সরব উপস্থিতিতে রোমে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা যুব ক্রীড়া সংস্থার আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের বহুল প্রত্যাশিত ফাইনাল খেলা। এক ঝাঁক তরুণ সংগঠকের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ১২টি দল।
ফাইনালে মুখোমুখি হয় বিডি রোমা ফুটবল ক্লাব ও বৃহত্তর সিলেট স্পোর্টিং ক্লাব। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে তিন শূন্য ব্যবধানে বৃহত্তর সিলেটকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় বিডি রোমা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম উদ্দিন জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে কমিউনিটির সহযোগিতা কামনা করেন তারা, সেই সঙ্গে প্রবাসী যুবকদের জন্য একটি স্থায়ী খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন নেতারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব তারিকুর রহমান পাশা। এসময় তিনি বলেন—বাংলাদেশি যুবসমাজের শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য একটি খেলার মাঠ অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে দূতাবাস প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা। খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা প্রবাসে ফুটবলচর্চাকে ধরে রাখার জন্য ঢাকা যুব ক্রীড়া সংস্থাকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৃহত্তর ঢাকা সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমান সালাম, বৃহত্তর ঢাকা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মো. সেলিম, বাংলাদেশ ক্রীড়া সংস্থা ইতালির পরিচালক সাজ্জাদুল কবির, প্রধান উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইমাম হাসান লিখন, আমিন মাহমুদ, সামির হোসেন সাদেক, মজির উদ্দিন, অলিউর তালুকদার, বাবুল হোসেন, সাব্বির আহমেদ, জামিল উদ্দিন, আরমান উদ্দিন স্বপন, গৌসুজ্জামান গেন্দু শাকিল, মুসলিম মিয়া, হাসান আহমেদসহ অনেকে।
ঢাকা যুব ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজয় কর এর পরিচালনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ কাজী, স্বপন হাওলাদার, মামুন রোভেল, আরিফ আহমেদ আরিফিন প্রমুখ।
৯০ মিনিটের খেলায় সাংবাদিক জায়েদুল হক সোহেল ধারাভাষ্যে প্রতিটি গোলের বর্ণনায় যেমন থাকে উচ্ছ্বাস, তেমনি প্রতিটি রক্ষণাত্মক সেভে থাকে নাটকীয় উত্তেজনা। খেলোয়াড়দের কৌশল, মাঠের মুহূর্ত, দর্শকদের আবেগ—সবকিছুকে নিখুঁতভাবে মিলিয়ে দর্শকদের করে তোলে সম্পূর্ণ মনোযোগী ও উচ্ছ্বসিত।
আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতা করেন কম্বো রেস্টুরেন্ট এবং লাঞ্চ বার মন্থে ভেরদে-এর সামির হোসেন।
Comments