ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও অঙ্গরাজ্যে আবারো রাজপথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ এপ্রিল) সারাদেশে ৪০০টির বেশি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজক ছিল '৫০৫০১' নামে পরিচিত একটি সংগঠন—যার লক্ষ্য ৫০ রাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভের মাধ্যমে একটি ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলা। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বহু শহরে রাস্তাজুড়ে মানবস্রোত দেখা গেছে। দেশের বাইরে ডাবলিনসহ বেশ কিছু শহরে প্রবাসীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন।
ম্যানহাটনের মধ্যভাগে বিশাল মিছিল, হোয়াইট হাউসের সামনে সমাবেশ, আর কনকর্ডে আমেরিকান বিপ্লবের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে 'আমাদের পালা, আমরা লড়বো' কিংবা 'ফ্যাসিস্টরা আসছে' লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল চোখে পড়ার মতো।
ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলের বাসিন্দা সারা হার্ভে এসেছিলেন প্রতিবাদে। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের দেশকে হারিয়ে ফেলছি। আমার নাতি-নাতনিদের জন্য উদ্বেগ হচ্ছে। ওদের জন্য আমি আন্দোলন করে যাব।'
৮০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত রাজমিস্ত্রি থমাস ব্যাসফোর্ড বলেন, 'এটি আমেরিকার জন্য একটি বিপজ্জনক সময়। স্বাধীনতার জন্য মাঝে মাঝে লড়াই করতে হয়।'
বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ট্রাম্পের শাসনামলে স্বৈরশাসনের উত্থান, সংবিধান লঙ্ঘন, এবং প্রজাতন্ত্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর আঘাত। আয়োজক ৫০৫০১-এর মুখপাত্র হিদার ডান বলেন, 'এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক, সংবিধানসম্মত এবং এই আন্দোলন নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে।'
হাভার্ডের রাজনীতি বিশ্লেষক স্টিভেন লেভিটস্কি বলেন, 'স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আদালত, ব্যালট বাক্স এবং রাজপথ—সবকিছুই একযোগে ব্যবহার করতে হয়। জনমত তৈরি এবং গণমাধ্যমে প্রভাব ফেলতেও রাস্তায় নামা জরুরি।'
ওয়াশিংটনে ফ্র্যাঙ্কলিন পার্কসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে একটি ছিল সিনেটর ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের বাসার সামনে। একইসঙ্গে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের কাছে একটি মিছিল ছিল কিলমার আবরেগো গার্সিয়ার পক্ষে, যাকে ভুলভাবে মেরিল্যান্ড থেকে বহিষ্কার করে এল সালভাদরে পাঠানো হয়।
Comments