আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে যাওয়ায় দেশে শান্তি ফিরেছে: ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে যাওয়ায় দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যারা মানুষ মেরেছে, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সেই দস্যুরা এখন পালিয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলার শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি প্রাঙ্গণে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মিথ্যা মামলায় জেলে থাকলেও খালেদা জিয়া মাথা নত করেননি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়। তাকে কী কষ্টে ছোট্ট একটি স্যাঁতসেঁতে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেননি। খেতে দেওয়া হয়নি। যার কারণে তার অসুখ হয়ে যায়। ৬ বছর জেল খেটেছেন। তবুও তিনি মাথা নত করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে এখনো মাথা উঁচু করে রয়েছেন।'
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'ড. মুহাম্মদ ইউনুস অত্যন্ত সম্মানী লোক। দেশের প্রতিটি মানুষ তাকে সম্মান করে। তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তাকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগে। তিন মাসের মধ্যে অনেক কাজ করেছেন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আওয়ামী লীগের লোক এখন আর অত্যাচার করতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন হবে।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সারাদেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে মায়ের মতো জানে। তিনিও সারাদেশের মানুষকে গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার স্বামী ছিলেন রাষ্ট্রপতি ও সেনাবাহিনীর প্রধান। স্বৈরাচার এরশাদ যখন জনগণের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিল তখন তরুণদের নিয়ে খালেদা জিয়া আন্দোলন করেছেন। সরকারে এসে তিনি দেশের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন। ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার জন্য বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।'
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও জয়নাল আবদীন ভিপি, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সদস্য শাহানা আক্তার শানু ও আবু তালেব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহবায়ক প্রফেসর এম এ খালেক, গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন প্রমুখ।