ওভার থিংকিং থেকে মুক্তি পেতে যা করতে পারেন

আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতিরিক্ত চিন্তা করি। কোনোকিছু ঘটার আগে বা পরে তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু তা যদি অতিরিক্ত হয়ে দাঁড়ায়, তবে মুশকিল। যখন একটা বিষয় নিয়ে অবিরত ভাবতে থাকবেন তখন মানসিক চাপ, ক্লান্তি, অবসন্নতা বাড়তে থাকবে। তবে চিন্তা-ভাবনার গতি কমিয়ে শান্ত হওয়া সম্ভব। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কখন অতিরিক্ত চিন্তা করছেন তা লক্ষ্য করুন
মনকে শান্ত করার প্রথম পদক্ষেপ হলো সচেতনতা। আমরা বেশিরভাগই বুঝতে পারি না যে আমরা কখন অতিরিক্ত চিন্তা শুরু করি, যতক্ষণ না আমরা অন্তত ঘণ্টাখানেক মানসিক চক্রে আটকে থাকি। চিন্তা-ভাবনার ধরণগুলো লক্ষ্য করে শুরু করা উচিত। কেউ যদি একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি করে, অথবা চিন্তাভাবনা আগের চেয়ে আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তোলে, তাহলে সেটাই অতিরিক্ত চিন্তার লক্ষণ। তখনই এটা বুঝতে পারলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
বর্তমানে মনোযোগ দিন
অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা অতীত বা ভবিষ্যতে বাস করে, যেমন কী ঘটেছিল বা কী ঘটতে পারে। মনকে শান্ত করার জন্য আলতো করে নিজেকে বর্তমানে ফিরিয়ে আনুন। শান্ত এবং মন পরিষ্কার করার কৌশল ব্যবহার করুন, যেমন গভীরভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া, আপনি দেখতে পাচ্ছেন এমন পাঁচটি জিনিস লক্ষ্য করা, অথবা আপনার কাছাকাছি কোনো কিছুর গঠন অনুভব করা। এই ছোট ছোট কাজগুলো আপনার মনকে বর্তমানে স্থবির করে রাখবে, যেখানে উদ্বেগের নিয়ন্ত্রণ কম থাকে।
সময় নির্ধারণ করুন
সারাদিন চিন্তাভাবনার সঙ্গে লড়াই করার পরিবর্তে, তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। ১০-১৫ মিনিটের একটি সময় নির্ধারণ করুন যখন আপনি চিন্তাভাবনা, প্রতিফলন বা সমস্যা সমাধানের জন্য স্বাধীনভাবে ভাবতে পারবেন। সেই সময়ের বাইরে কোনোকিছু নিয়ে চিন্তা হলে তখন মনকে বলবেন যে, এটি নিয়ে আমি নির্দিষ্ট সময়ে ভাববো।
শারীরিক পরিশ্রম করা
অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা প্রায়ই আমাদের মস্তিষ্কের কাজে আটকে রাখে। চক্র ভাঙার অন্যতম সেরা উপায় হলো শরীরকে কোনো কাজ করতে দেওয়া। হাঁটতে যাওয়া, স্ট্রেচিং করা, নাচ করা, পরিষ্কার করা বা সক্রিয় কিছু করা সেই মুহূর্তের জন্য বিরতি হিসেবে কাজ করবে। এতে আপনার মস্তিষ্কও অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করার সুযোগ পাবে।
Comments