গ্রীষ্মকালেও ঠোঁট ফাটা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

মুখের সব থেকে সেনসেটিভ অংশ হচ্ছে ঠোঁট। কেউ আপনার দিকে তাকালে প্রথমে যেমন মুখে চোখ পড়ে, একইভাবে ঠোঁটের দিকেও খেয়াল থাকে। আর এই ঠোঁট শীতে ফেটে গেলে যেমন সমস্যা হয়, একইভাবে অনেকেরই গরমেও ফেটে যায়। স্বাভাবিকভাবেই গরমে ঠোঁট ফাটার সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঠোঁট ভালো রাখার জন্য অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়।
ঠোঁটের প্রতি অবহেলা থেকে শুষ্কতা, ঠোঁট ফাটা ও ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ জন্য ঠোঁটকে আদ্র রাখা উচিত। না হলে ঠোঁট কালো হওয়ার পাশাপাশি একাধিক জটিলতা অনুভব করবেন। এ জন্য ঠোঁটের যত্ন নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এবার তাহলে ঠোঁটের যত্ন নেয়া সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
হাইড্রেটিং উপাদান: মোম, নারকেল তেল ও শিয়া মাখনের মতো হাইড্রেটিং উপাদান সমৃদ্ধ লিপ বাম ব্যবহার করতে পারেন ঠোঁটে। এসব উপাদান দীর্ঘস্থায়ী আর্দ্রতা প্রদান করে থাকে। শুষ্কতা বা ঠোঁট ফাটার সমস্যাও দূর করে। ঠোঁট ভালো রাখার পাশাপাশি নরম রাখতেও সহায়তা করে।
এসপিএফ সুরক্ষা: সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করার জন্য ঠোঁটে সবসময় এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। এসপিএফ রোদে পোড়া ও অকাল বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে। এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ঠোঁট প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ স্তর প্রদান করে। পাশাপাশি রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
দীর্ঘস্থায়ী লিপবাম: সারাদিন হাইড্রেশন ও সুরক্ষার জন্য ঠোঁটে দীর্ঘক্ষণ থাকবে এমন লিপবাম ব্যবহার করতে হবে। এ জাতীয় লিপবাম ব্যবহারে ঠোঁটে বারবার লিপবাম লাগানোর ঝামেলা থাকে না। ঠোঁটও আর্দ্র থাকে।
প্যারাবেন মুক্ত: অনেকেরই ত্বকের জ্বালা, অ্যালার্জি ও হরমোনের ভারসাম্য নিয়ে জটিলতা দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যা থাকলে এ জাতীয় রাসায়নিক যেন লিপবামে না থাকে, সেটি লিপবামের গায়ে দেখে নিন। প্যারাবেন উপাদান মুক্ত লিপবাম ব্যবহার ঠোঁটের জন্য ভালো। প্রাকৃতিক উপাদানর সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করুন।
রঙিন লিপবাম: ঠোঁট যদি হালকা রঙিন করতে চান, তাহলে টিন্টেড লিপবাম ব্যবহার করুন। এই লিপবাম রঙের আভা দেয়। পাশাপাশি ঠোঁট ময়েশ্চারাইজও করে এবং এতে লিপস্টিক বা গ্লসের মতো ভারীও হয় না ঠোঁট।
Comments