রোজার শেষে পানিশূন্যতা রোধে যা করবেন

পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ দিকে। রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই পানিশূন্যতা দেখা দেয়। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা দীর্ঘ সময় রোজা থাকার কারণে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও পানিশূন্যতা থেকে উচ্চতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির সমস্যায় পড়েন। এ কারণে পানিশূন্যতা রোধে আগেই সতর্ক হওয়া উচিত।
প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তর্নিহিত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকতে পারে। রমজান মাসে রোজা থাকার কারণে সেসব সমস্যা অনেক সময়ই বেড়ে যায় বা জটিলতা সৃষ্টি করে। এ কারণে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়। আবার পানিশূন্যতা থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের সমস্যা ও অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের মতোও জটিলতা হতে পারে। এবার তাহলে সংবাদমাদ্যম ডেইলি পাকিস্তানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পানিশূন্যতা রোধে করণীয়গুলো জেনে নেয়া যাক।
পানিশূন্যতার লক্ষণ: বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে পানিশূন্যতা বিভিন্নভাবে দেখা দিতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্রস্রাব গাঢ় বা লালচে হওয়া- সাধারণত কিডনির সমস্যা সংক্রমণের সম্ভাব্য লক্ষণ হলে প্রস্রাব গাঢ় বা লালচে হয়।
হাত-পা ফোলা: শরীরে তরল বা পানি জমে রাখার ইঙ্গিত হিসেবে হাত-পা ফুলে থাকে। যা হৃৎপিণ্ড বা কিডনির সমস্যার লক্ষণ হিসেবে হয়ে থাকে।
শক্ত খাবার খেতে সমস্যা: পানিশূন্যতা ও পুষ্টির ঘাটতি থেকে দুর্বলতা দেখা দেয়। অনেক সময় ক্ষুধাভাবও কমে যায়।
মলদ্বার থেকে রক্তপাত: এটি খুবই উদ্বেগজনক লক্ষণ। যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। এ সমস্যা পানিশূন্যতার জন্য আরও জটিল হতে পারে।
হাইড্রেটেড থাকার উপায়:
তরল গ্রহণ বাড়ানো: ইফতার ও সেহরির পর শুধু জুস বা দুধের ওপর নির্ভর না করে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
প্রস্রাবের রঙ পর্যবেক্ষণ করা: প্রস্রাব হালকা হলুদ হলে সঠিক হাইড্রেশনের লক্ষণ। আবার গাঢ় বা লালচে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
লবণাক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া: অনেকেই মুখের স্বাদে লবণাক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকেন। এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার পানিশূন্যতা ও ফোলাভাব বাড়াতে পারে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরলজাতীয় ফল এবং শাকসবজি খেতে পারেন।
লক্ষণ অস্বাভাবিক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে: ফোলাভাব যদি ক্রমাগত থেকে যায় বা বাড়ে, প্রস্রাবে যদি রক্ত আসে বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।
বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: রোজার পর একটি সুষম খাদ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি নিজেকে হাইড্রেটেড রাখে এমন সব খাবার খেতে হবে।
Comments