পূর্ণিমার সৌন্দর্যে মজেছেন নেটিজেনরা

দিলারা হানিফ পূর্ণিমা ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম। নব্বই দশকের শেষ প্রান্তে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলেও তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে দুই প্রজন্মজুড়ে। রূপ ও অভিনয়ের মেলবন্ধনে দেড় যুগ পরেও সমানভাবে আলোচিত তিনি। রূপালি পর্দায় তার যাত্রা শুরু হয় প্রায় আড়াই দশক আগে, কিন্তু সময় যেন তার সৌন্দর্যের ওপর কোনো উপস্থিতি বরাবরই নজরকাড়া।
সম্প্রতি কিছু ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মিডিয়ার কাজে অংশ নিতে দেখা যায় এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে।
ব্যক্তিজীবনে বেশ গুছানো ও সুনামধন্য অবস্থান গড়েছেন পূর্ণিমা। তার জীবন নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক কিংবা গসিপ নেই বললেই চলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। সেখানে তার অসংখ্য অনুরাগী নিয়মিতই ভালোবাসা ও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাকে। বিশেষ করে তার বয়স না বাড়ার মতো চিরসবুজ রূপের জন্য ভক্তদের মুগ্ধতা চোখে পড়ে বারবার।
বিভিন্ন সাজে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে নিজেকে উপস্থাপন করলেও, তার সৌন্দর্যে সবসময়ই একটা প্রাকৃতিক ও মার্জিত ছোঁয়া থাকে।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইট ব্লু সালোয়ার-কামিজ ও সাদা ওড়নায় কিছু ছবি পোস্ট করেন তিনি। সাধারণ সাজে ধরা দিলেও পূর্ণিমার চেহারায় ছিল সেই চিরচেনা মিষ্টি হাসি ও আকর্ষণ।
ছবিগুলোর নিচে অনুরাগীরা মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন তাকে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, 'ছোটবেলা থেকে আপনাকে দেখে আসছি, এখনো একেবারে একই রকম লাগছে। আমরা বুড়ি হয়ে যাচ্ছি, আপনি একই বয়সে আটকে আছেন।' আরেকজন মন্তব্য করেছেন, 'ছোটবেলার ক্রাশ ছিলেন, এখনো কত সুন্দর।' আরও একজন লেখেন, 'সাধারণ সাজেও আপনাকে এত সুন্দর লাগে, কীভাবে সম্ভব!'
পূর্ণিমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো ছবি ছিল ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'মনের মাঝে তুমি'। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবিতে তার অভিনয় দারুণ প্রশংসা পায়। এরপর ২০০৬ সালে এসএ হক অলিক পরিচালিত 'হৃদয়ের কথা' ছবিতেও তিনি মন কাড়েন দর্শকদের।
এই দুই ছবির পর থেকে পূর্ণিমা হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সময় বদলালেও পূর্ণিমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আগ্রহ একই রয়ে গেছে। সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার অনন্য মিশেলে তিনি আজও বাংলার দর্শকের মনে একটি স্থায়ী জায়গা দখল করে আছেন।
Comments