লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনকে (৮) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলায় দ্বিতীয় আসামি অধ্যক্ষ বশির আহমদসহ জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও পুলিশ বশির ও ফয়সালকে গ্রেফতারের করতে পারেনি। তারা এজাহারভূক্ত আসামি।
সকালে শহরের আল মুঈন ইসলামী একাডেমীর সামনে মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনেও মানববন্ধনে দাঁড়ায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত লোকজন মাদ্রাসার বাহিরের অংশের কাঁচ ভাঙচুর করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরনবী, খালেদ মাহমুদ, ইকবাল মাহমুদ, নিহত সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির মাতাব্বর ও মা জয়নব বিবি প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা বলছে সানিম আত্মহত্যা করেছে মাদ্রাসার ৩ তলায়। কিন্তু তার মরদেহ পাওয়া গেছে নিচতলার একটি কক্ষে।
নিচতলায় নামানোর কোন ফুটেজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। অভিযুক্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার হত্যাকারীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মামলা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মাদ্রাসা থেকে নিহত সানিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে সানিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির মাতব্বরের ছেলে ও মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
ঘটনার রাতেই সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সদর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা করেন। বশির ছাড়া অন্যরা হলেন শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ ও ফয়সাল। এরমধ্যে ঘটনার দিন মাহমুদকে গ্রেফতারের করে পুলিশ। তবে বশির ও ফয়সাল এখনো গ্রেফতারের হয়নি।
Comments