শেরপুরে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু

শেরপুরে ঘন্টার ব্যবধানে বজ্রপাতে এক কৃষক ও এক গৃহিণীর মৃত্যু হয়েছে। ৩১ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের পশ্চিম বড়পাগলা গ্রামে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে নিহত সমির উদ্দিন (সমু)। সে একই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। নিহত সমির উদ্দিন (সমু) ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ও গুরিগুরি বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুর দিকে আকাশ মেঘলা ও ভারি বৃষ্টির কারনে মাঠে চড়ানো গরু আনতে যান সমু। এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হয় এবং সাথে সাথে সমু মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টালকি ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন বদ্দি বলেন, আমার প্রতিবেশী সমু বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে দুপুরে বজ্রপাতে নিহত হন। তার জানাযার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, খুব কাছেই বজ্রপাত হবার জন্য তিনি শব্দে ভয় পান। পরে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মানিককুড়া গ্রামে নাতনিকে মাদরাসা থেকে আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান হাজেরা বেগম (৪৫)। সে স্থানীয় খোরশেদ আলমের স্ত্রী। দুপুর দেড়টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো আজও তার নাতনিকে সে বাড়ি আনতে মাদ্রাসায় যান। পথে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে তিনি পথেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল রানা বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Comments