সিলেট সীমান্তে উত্তেজনা; গ্রামবাসীর ধাওয়ায় পালাল বিএসএফ

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে স্থানীয়দের উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে।সীমান্ত পিলার সংলগ্ন খেলার মাঠ জরিপ করতে এসে বাংলাদেশিদের বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ। একপর্যায়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-৭৯ পিলার এলাকায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতাধীন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে নলজুরি সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সার্ভে দল ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ কাজ শুরু করে। সার্ভে কাজে সহযোগিতা করছিলেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। তবে সার্ভে চলাকালে বিএসএফের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাসি হাওর এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় স্থানীয় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। যতটা জানতে পেরেছি সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছেন তা আমরা জানি না। সমিক্ষার বিষয়ে আমাদের কেউ জানাননি।
সিলেট বিজিবি (৪৮ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, 'সীমান্তের আমস্বপ্ন এলাকার এই খেলার মাঠ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দখলে ছিল। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতায় মাঠটি ভারতের অংশ হিসেবে দিয়ে দেওয়া হলেও এতদিন এটি অপদখলীয় ভূমি হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করে আসছেন।'
তিনি আরও বলেন, বিএসএফ ও বিজিবির নিয়মিত যৌথ সীমান্ত জরিপ চলাকালীন এই মাঠটি যে ভারতের অংশ তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেননি। তারা ধরে নিয়েছেন যে মাঠটি ভারত নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
Comments