পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকে মারধর করে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার ( ৩ জানুয়ারি) বিকেলে নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের পুলিশ লাইন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার হওয়া সুমিত সরকার (২২) নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ৮ম পর্বের শিক্ষার্থী ও একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে গাজীপুর কালিগঞ্জ এলাকার রাজকুমার সরকারের ছেলে নরসিংদীর দগরিয়ায় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন।
রবিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ নিহার রঞ্জন দাস। তিনি বলেন, "পরীক্ষা শেষে কোন একজন ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে শুনেছি। তারই ২০-২৫ জন সহপাঠী এসে আমাকে ঘটনাটি জানান। পরে আমি পুলিশকে ফোন করলে তারা জানান বিষয়টি রাজনৈতিক"। মারধর করে পুলিশে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, "তাকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে কিনা বিষয়টি আমি নিশ্চিত না, ঘটেও থাকতে পারে। তবে তার সহপাঠীদের বরাতে জানলাম ছেলেটি রাজনীতি করলেও অত্যন্ত নম্র, ভদ্র। কোনরূপ অশুভ কাজে জড়িত ছিল না। ঘটনাটি আমার খারাপ লেগেছে। এই প্রতিষ্ঠানে যারা পড়াশোনা করে সকলেই আমার শিক্ষার্থী। তবে আজকে তার শেষ পরীক্ষা ছিল বলে পরীক্ষার কোনো ক্ষতি হবে না।"
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রদলের একাধিক নেতাকে ফোন করলে তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বলেন, "সুমিত পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার পথ আটকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর আগে তার নামে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ ছিল না। সে অত্যন্ত ভালো ছেলে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই"।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন, জনশ্রুতি আছে সে ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিষয়টি এমন নয়। পুলিশ লাইন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়, তার নামে মামলাও রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।