আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজটি হবে তিন ম্যাচে

দুই ম্যাচের সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আরব আমিরাতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ জাতীয় দল। তবে সফরের মাঝপথেই বদলে গেল পরিকল্পনা। আয়োজক এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্মতিতে সিরিজটি এখন গড়াচ্ছে তিন ম্যাচে। বিসিবির প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তৃতীয় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাগতিক বোর্ড। তৃতীয় ম্যাচটি হবে ২১ মে, শারজাহতেই।
এই সিরিজটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) অন্তর্ভুক্ত নয়। পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি হিসেবেই সংক্ষিপ্ত এই সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ মে, দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯ মে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ২১ মে পাকিস্তানে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল টাইগারদের।
তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফরের সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সিরিজের শুরুর তারিখ ২৫ মে থেকে পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সেই সুযোগেই আরব আমিরাতের বিপক্ষে আরও একটি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করে বিসিবি।
আরব আমিরাতের মতো অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে কিছু সমালোচনা থাকলেও, প্রথম ম্যাচেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়েছে স্বাগতিকরা। র্যাংকিংয়ের ১৫তম স্থানে থাকা আমিরাত দল প্রায় জয় ছিনিয়ে নিচ্ছিল ৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের কাছ থেকে। এই ফলাফল প্রমাণ করে, বাকি দুই ম্যাচে জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে আরও মনোযোগী হতে হবে।
এদিকে, পাকিস্তান সফর নিয়ে এখনো কিছুটা অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মে মাসেই পাকিস্তান যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। তবে ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার সীমান্তবর্তী ভেন্যুতে খেলার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, পাকিস্তান সফরের বিষয়ে সরকার সবুজ সংকেত দিয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তঘেঁষা স্টেডিয়ামগুলোতে ম্যাচ না খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,'পাকিস্তান সফর নিয়ে এনএসসি সরকারের মতামত জানতে চেয়েছিল। পাকিস্তান দূতাবাস থেকে ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। আমরা বিসিবিকে বলে দিয়েছি, সীমান্তবর্তী ভেন্যু যেন এড়িয়ে চলে। বিসিবি এখন পিসিবির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য সফরটি যতটা সম্ভব নিরাপদভাবে শেষ করা।'
Comments