ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে সেমির পথে বার্সেলোনা

বার্সেলোনার আক্রমণভাগ নিয়ে দলকে দেওয়া বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচের সতর্ক বার্তা কোনো কাজেই আসেনি। জালের দেখা পেয়েছেন বার্সেলোনার আক্রমণভাগের তিন তারকা। জার্মান ক্লাবটিকে একরকম উড়িয়ে দিয়ে সেমি-ফাইনালের পথে এগিয়ে গেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।

চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। বুধবার রাতে একপেশে ম‍্যাচে জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেভানডোভস্কি; জালের দেখা পেয়েছেন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামালও।

নতুন আঙ্গিকের চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বে দেখা হয়েছিল দল দুটির। ৩-২ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। এবার জার্মান ক্লাবটিকে পাত্তাই দিল না তারা।

প্রথম সাত মিনিটে তিনটি দারুণ সুযোগ তৈরি করা বার্সেলোনা চাপ শুরু করে। ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ফ্রি কিকে ইনিগো মার্তিনেসের হেডে বল পেয়ে যান পাউ কুবার্সি। তার শট কোবেলের হাতে লাগার পরও জালেই যাচ্ছিল, সহজাত প্রতিক্রিয়ায় ছুটে গিয়ে পা ছুঁয়ে গোল নিজের করে নেন রাফিনিয়া! চলতি আসরে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের এটি ১২তম গোল।

দুই মিনিট পর খেলার ধারার বিপরীতে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড। আসরে ১০ গোল করা সেগু গেগাসি খুব কাছ থেকে বলে ঠিক মতো শটই নিতে পারেননি। নিশ্চিত গোল হজম থেকে বেঁচে যায় বার্সেলোনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব‍্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। ইয়ামালের ক্রসে রাফিনিয়া হেডে খুঁজে নেন লেভানডোভস্কিকে। অনেকটা ক্রসবারের নিচ থেকে হেডে বাকিটা সারেন অভিজ্ঞ পোলিশ স্ট্রাইকার।

৬৫তম মিনিটে গতিময় শটে আবারও জাল খুঁজে নেন লেভানডোভস্কি। চলতি আসরে এটি তার ১১তম গোল। নিজের সাবেক ক্লাব ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৮ ম‍্যাচে এটি তার ২৯তম গোল।

গতিময় আক্রমণ থেকে ৭৭তম মিনিটে ব‍্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ইয়ামাল।

৮৯তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু অফসাইডের জন‍্য মেলেনি গোল। একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। আগামী মঙ্গলবার ডর্টমুন্ডের মাঠে হবে ফিরতি লেগ।