বিপিএলের প্লে-অফের শেষ সমীকরণ যেমন

একদিনের বিরতির পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আবারও মাঠে গড়াবে বিপিএল।  প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে এদিন মাঠে নামবে চার দল। একাদশ বিপিএলের লিগ পর্বে এখন পর্যন্ত ৩৬টি ম্যাচ শেষ হয়েছে, বাকি আছে মাত্র ছয়টি। ইতোমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে দুই দল, রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থেকেও এখনও শেষ চার নিশ্চিত হয়নি দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগং কিংসের। বিদায়ের তালিকায় সবার আগে নাম উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের।

চলুন জেনে নেই প্লে-অফে উঠতে কিংবা শীর্ষ দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ারে জায়গা পেতে কোন দলের কী হিসাব : 

রংপুর রাইডার্স : টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। যদিও শেষ দুইটি ম্যাচে টানা পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পায় তারা। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে রংপুরের পয়েন্ট ১৬। শেষ দুই ম্যাচের  প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্স। এই দুই ম্যাচের একটিতে জিতলে নিশ্চিত শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে তারা। চিটাগং কিংস আর একটি ম্যাচ হারলে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে আর কোনো পয়েন্ট না পেলেও চলবে রংপুরের।

ফরচুন বরিশাল : দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা বর্তমানে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। যদিও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় রংপুরের পর তাদের অবস্থান। বরিশালের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস ও চিটাগং কিংস। বরিশাল এই দুই ম্যাচের একটিতে জিতলে তারাও প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে। আবার  চিটাগং একটি ম্যাচ হারলে আর কোনো জয় না পেয়েই শীর্ষে দুইয়ে থাকবে বরিশাল।

দুর্বার রাজশাহী : চলমান বিপিএলে সবার আগে ১২ ম্যাচের ১২ ম্যাচই খেলে ফেলেছে দুর্বার রাজশাহী। শেষ তিন ম্যাচে টানা তিন জয়ে তাদের পয়েন্ট এখন ১২। পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে থাকলেও এখনো অনিশ্চিত তাদের প্লে-অফ। কোনো ম্যাচ বাকি না থাকায় দলটির ভাগ্য এখন অন্যদের হাতে। খুলনা টাইগার্স শেষ দুই ম্যাচের একটিতে হেরে গেলেই প্লে-অফ খেলবে রাজশাহী। চিটাগং তিন ম্যাচ হেরে গেলেও রাজশাহী উঠবে প্লে-অফে। তবে খুলনা শেষ দুই ম্যাচ জিতে গেলে নেট রানরেটে নির্ধারিত হবে রাজশাহীর ভাগ্য।

চিটাগং কিংস : পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা চিটাগং কিংস  শেষ তিন ম্যাচের একটিতে জিতলেই প্লে-অফে উঠে যেতে পারবে। শেষ তিন ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ফরচুন বরিশাল। খুলনা শেষ দুই ম্যাচেই হারলে আর কোনো ম্যাচ না জিতলেও প্লে-অফে খেলতে পারবে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে থাকা চিটাগং। তবে দলটি যদি তিন ম্যাচেই হেরে যায়, আর খুলনা জিতে যায় দুই ম্যাচ, তখন বাদ পড়বে চিটাগং। এই শঙ্কা যেমন আছে, তেমনি শেষ তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারেও উঠে যেতে পারে দলটি।

খুলনা টাইগার্স : এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে আট পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে খুলনা টাইগার্স। শেষ দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস। চিটাগং কিংস যদি শেষ তিন ম্যাচেই হারে, তবে দুই ম্যাচ জিতলেই শেষ চারে যাবে খুলনা টাইগার্স। চিটাগং এক ম্যাচ জিতলে ও খুলনা দুই ম্যাচ জিতলে রাজশাহী, খুলনা ও চিটাগংয়ের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। তখন আসবে নেট রানরেটের হিসাব। এক ম্যাচ জিতে খুলনার পরের পর্বে যেতে হলে, চিটাগংকে শেষ তিন ম্যাচে বাজেভাবে হারতে হবে।

ঢাকা ক্যাপিটালস : প্লে-অফে খেলতে সবচেয়ে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। তারা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। তাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। এই দুই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে। চিটাগং আর একটি কিংবা খুলনা দুটি ম্যাচ জিতলেই বাদ ঢাকা।

সিলেট স্ট্রাইকার্স : সবার আগে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১১ ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সবার শেষে দলটির অবস্থান। নিয়মরক্ষাকর শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস।