ইলন মাস্কের গোপন বৈঠকের খবর ফাঁস
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই হাতে ভরে টাকা ঢেলেছেন। পছন্দের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ট্রাম্পের জয়ের পর থেকেই ব্যবসা ছাড়িয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে নাক গলাতে শুরু করেন মাস্ক। একের পর এক মার্কিন মিত্র দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন। নিজের পছন্দ অনুযায়ী দেদারসে ক্ষমতাসীন কিংবা বিরোধী দলকে সমর্থন দিয়ে চলেছেন। সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে নতুন নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাচ্যুত করতে একটি গোপন বৈঠক করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এই তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্রটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগেই তার পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে মিত্রদের সঙ্গে গোপনে আলোচনা করেছেন।
মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র। গত মাসে ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে জার্মানির একটি অভিবাসনবিরোধী কট্টর দলকে সমর্থন দেন এবং ব্রিটিশ রাজনীতি নিয়ে বারবার মন্তব্য করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক ও তার মিত্ররা কীভাবে লেবার সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং সরকার পরিবর্তনে বিকল্প ব্রিটিশ রাজনৈতিক দলের জন্য সমর্থন তৈরির বিষয়ে তথ্য খুঁজছেন। এ বিষয়ে অবগত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাস্কের মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও নিয়মিত কর্মঘণ্টার বাইরে মাস্ক তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এক ব্যক্তি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, তার (মাস্কের) মতামত হলো পশ্চিমা সভ্যতাই হুমকির মুখে পড়েছে।
এর আগে স্টারমারের বিরুদ্ধে মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন যে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের পরিচালক থাকাকালীন তিনি তরুণী মেয়েদের ধর্ষণকারী গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। স্টারমার পরে ব্রিটেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর হিসেবে তার কাজের পক্ষে সাফাই দিয়েছেন।
ইউরোপীয় রাজনীতিতে মাস্কের এমন নাক গলানোর বিষয়ে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গ্যাহর স্টোরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।