ব্রাজিলে গেল আজারবাইজানের বিধ্বস্ত বিমানের ব্লাকবক্স
কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানের দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে এটির ফ্লাইট রেকর্ডার (ব্লাকবক্র) ব্রাজিলের অ্যারোনটিকাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারে পাঠিয়েছে দেশটির তদন্ত কমিশন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তাসের।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্লাইট রেকর্ডারগুলোকে ব্রাজিলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কমিশন ব্রাজিলে রওনা হয়েছে। তারা ফ্লাইট রেকর্ডারগুলো অ্যারোনটিক্যাল অ্যাক্সিডেন্টস ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারে (সেনিপা) পৌঁছে দেবেন। এদিকে বিধ্বস্ত হওয়া আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় কাজাখ সরকারের তদন্তকারী কমিশন ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-পরিবহন মন্ত্রী তালগাত লাস্তায়েভ।
গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লাস্তায়েভ জানিয়েছেন, সাধারণভাবে মানদণ্ডের জন্য একটি তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে ঘোষণা করা প্রয়োজন।
বিমান দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন এ বিষয়ে তার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবে। তদন্ত কমিশনের সদস্য এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্তটি বর্তমানে একটি মাঠ পর্যায়ে রয়েছে। এখন বিধ্বস্ত বিমানের টুকরোগুলো সংগ্রহ করা, বিমান দুর্ঘটনার স্থানে প্রিন্ট করা, কাস্ট নেয়া হচ্ছে। সংগ্রহ করা এসব নমুনা বিশেষজ্ঞদের দ্বারা কঠোরভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গত বুধবার কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে উড়োজাহাজটি (ফ্লাইট জে২-৮২৪৩) বিধ্বস্ত হয়। এতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হন। বেঁচে যান ২৯ জন। উড়োজাহাজটিতে যাত্রী-ক্রু মিলে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন।