সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা

আগেরদিন ঢাকার শেয়ারবাজারে সূচকের বড় উত্থান হলেও আজ তা ধরে রাখা যায়নি। গতকাল দরবৃদ্ধির কারণে অনেক শেয়ারের দর বেড়ে যায়। আজ অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যায়। বাজারের প্রতি আস্থা নেই বিনিয়োগকারীদের। তাই সামান্য লাভ বা কেনা দামে হলেও বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে আজ লেনদেন বেড়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা হলেও সূচকে ছিল মিশ্র প্রবণতা। ডিএসইএক্স সূচক ও ডিএস৩০ সূচক সামান্য বাড়লেও কমেছে ডিএসইএস সূচক। ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে সাড়ে আট পয়েন্ট। ১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমেছে ডিএসইএস সূচক। দর বেড়েছে ৪৩ শতাংশ কোম্পানির, কমেছে ৪২ শতাংশের দর।
খাতভিত্তিক লেনদেনে ব্যাংক খাতে সাড়ে ৭৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠলেও এ খাতে বিক্রির চাপ বেশি থাকায় মাত্র ২৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে প্রায় ৫১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ খাতে ৪৭ শতাংশে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। জ্বালানি খাতে ৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫২ শতাংশ কোম্পানির। লেনদেন বেড়েছে ১৮৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
বিচ হ্যাচারির ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় দেড় টাকা। মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২টাকা ২০ পয়সা। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা। সিটি ব্যাংক, এসপি সিরামিকস, বেক্সিমকো ফার্মা এই তালিকায় উঠে আসে।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। দর বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। এছাড়া বারাকা পাওয়ার, এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড, মিডল্যান্ড ব্যাংক, হাক্কানি পাল্প দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করে। দরপতনে ছিল খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল)। কোম্পানির দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দীর্ঘদিনেও সরকার বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি কার্যকর করেনি। এ অবস্থায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিপি) নির্দেশনা অনুসারে, কোম্পানিটি জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে (ন্যাশনাল গ্রিড) সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) বিষয়টি জানিয়েছে কেপিসিএল। এরপরে ছিল রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, এনার্জি পাওয়ার, বাটা সু, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ শেয়ারের দর ও সূচক বাড়লেও লেনদেন আগেরদিনের তুলনায় কমেছে। সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে দশমিক ৫২ পয়েন্ট। সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে দশমিক ৪২ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯৫ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ৬০টির। দর অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির। লেনদেন হয় ৬ কোটি টাকা। লেনদেন কমেছে ৩৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
২ কোটি ৫২ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে লোভেলো আইসক্রিম লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। এরপরের অবস্থানগুলোতে ছিল কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, উত্তরা ব্যাংক, বিএটিবিসি, মিডল্যান্ড ব্যাংক। দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে ইষ্টার্ন হাউজিং লিমিটেড, পদ্মা লাইফ, ইস্টার্ন হাউজিং, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। দরপতনে ছিল খুলনা পাওয়ার, মেট্রো স্পিনিং, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, এ্যাপেক্স ফুড, এনবিএল।
Comments