সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন কমেছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। প্রধান সূচক ও ডিএসইএস সূচক কমলেও ইতিবাচক ছিল ডিএস ৩০ সূচক। বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হলেও গ্রামীণ ফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার, ব্রাক ব্যাংক, ম্যারিকো, ইউনিলিভার, বাটা শু'র মতো কোম্পানির দরবৃদ্ধির কারণে ডিএস ৩০ সূচক ইতিবাচক ছিল। লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটি টাকায়। দর কমেছে ৫৩ শতাংশ কোম্পানির। বেড়েছে ৩০ শতাংশের দর। ডিএসইএক্স কমেছে ৪ পয়েন্ট, ডিএসইএস কমেছে দশমিক ৬৩ শতাংশ। ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট। গতকালের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি টাকা।
আজ লেনদেন বেড়েছে ব্যাংক ও জ্বালানি খাতে। ব্যাংক খাতে ৪২ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতনে ছিল ৪৫ শতাংশ কোম্পানি। জ্বালানি খাতে ৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির। প্রকৌশল খাতে ৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতনে ছিল ৬৪ শতাংশ কোম্পানি। জ্বালানি খাতের শাহজিবাজারের প্রায় ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে অবস্থান করে। ৪ টাকা দর বেড়ে কোম্পানিটি দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। মিডল্যান্ড ব্যাংকের সাড়ে নয় কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ১ টাকা ১০ পয়সা।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে ডরিন পাওয়ার, রানার অটো, এনার্জি পাওয়ার জেনারেশন, আল-আরাফা ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল। দরপতনের শীর্ষে অবস্থান করে বিচ হ্যাচারি, এডিএন টেলিকম, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, খান ব্রাদার্স পিপি, প্রগ্রেসিভ লাইফ।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৩৩ পয়েন্ট, সিএএসপিআই কমেছে ৫৪ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২০৭ কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১১৩টির, বেড়েছে ৭২টির। অপরিবর্তিত ছিল ২২টির দর। লেনদেন হয় মাত্র সাড়ে চার কোটি টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে উত্তরা ব্যাংক, আইএফআইসি, বিএটিবিসি, রবি, ম্যাকসন স্পিনিং। দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করে শমরিতা, খান ব্রাদার্স পিপি, হামি ইন্ডাস্ট্রিজ, বে লিজিং, এসোসিয়েট অক্সিজেন লিমিটেড। দরপতনে ছিল বিচ হ্যাচারি, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এডিএন টেলিকম, রহিমা ফুড, বাটা সু।
Comments