ট্রাম্পের শুল্ক ছাড়ের পর ঊর্ধ্বমুখী এশিয়ার শেয়ারবাজার

মার্কিন সরকার চীন থেকে আমদানিকৃত স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের পর সোমবার (১৪ এপ্রিল) এশিয়ান প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে। খবর রয়টার্স ও ইকোনমিক টাইমসের।
যদিও ট্রাম্প বলেছেন, ইলেকট্রনিক সামগ্রীতে শুল্কছাড়ের এই ঘোষণা সাময়িক। গতকাল রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আগামী সপ্তাহেই সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে। সেই সঙ্গে স্মার্টফোনের বিষয়েও শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অ্যাপলের বৃহত্তম আইফোন অ্যাসেম্বলার ফক্সকনের শেয়ার সোমবার সকালের বাণিজ্যে প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে; ল্যাপটপ নির্মাতা কোয়ান্টা ৭ শতাংশ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সার্ভার তৈরি কোম্পানি ইনভেনটেকের শেয়ার ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একইসঙ্গে অ্যাপল সরবরাহকারী চীনের গোয়ের্টেক এবং লেন্স টেকের শেয়ার যথাক্রমে ৩ শতাংশ এবং ১.১ শতাংশ বেড়েছে; দেশটির ব্লু চিপসের উত্থান হয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ; মার্কিন বাজারে দ্বিতীয় র্যাংকযুক্ত স্মার্টফোন বিক্রেতা দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ শতাংশ; এমএসসিআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং জাপানের নিক্কেই এশিয়া সূচকের উত্থান হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
এ ছাড়া এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচার্স সূচকের উত্থান হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ; নাসডাক ফিউচার্সের উত্থান হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ; ইউরোস্টক্স ফিউচার্সের উত্থান হয়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ; এফটিএসই ফিউচার্সের উত্থান হয়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ; আর ডিএএক্স ফিউচার্সের উত্থান হয়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে আজও বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের পতন অব্যাহত আছে। এর আগে গত সপ্তাহেও ডলারের পতন হয়েছে ৫ শতাংশ। আজ ইউরো, ইয়েন ও সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে ডলারের দরপতন হয়েছে। তবে এই অনিশ্চয়তার সময় বিনিয়োগের আরেক নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে খ্যাত সোনার দাম বাড়ছে। সোমবার সকালে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আবারও রেকর্ড গড়েছে। এই ধাতুর দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ২৪৫ ডলারে উঠে গেছে।
বিশ্ববাজারে তেলের অবস্থাও ভালো নয়। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৭ সেন্ট কমে ৬৪ দশমিক ৫৯ ডলারে নেমে এসেছে। ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ১৫ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ৩৫ ডলারে নেমে এসেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেছেন, আমরা চমকপ্রদ সপ্তাহান্তের শুল্কের খবরটিকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছি। কারণ এটি কিছুটা নমনীয়তা দেয়।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে চীন থেকে আমদানির ওপর অ্যাপলের উচ্চ নির্ভরতার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম বাড়তে পারে। অ্যাপল চার্টার্ড কার্গো ফ্লাইটগুলো ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ টন বা ১.৫ মিলিয়নের মতো আইফোন বহন করে।
Comments