অতিকথনের ছিদ্রপথে

মার্চ ২, ২০১৩

2012-12-20-12-34-22-045435800-1‘অতিকথনের ছিদ্রপথে সাংবাদিকরা ঢুকে পড়লে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে আমি আগেই বলেছিলাম।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে আনকোড বক্তব্য নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হৈচৈ বেধে যাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এ মন্তব্য করেন।

এর আগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যডভোকেট সাহারা খাতুণ জনগণকে সাবধান করতে সরল মনে বলেছিলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় ঠিকঠাক মতো ঘরে তালা দিয়ে যেতে।

ওই সময় এই কথাটি নিয়েও পত্রিকায় ফাটফাটি লেখা প্রকাশ করা হয়। বেকায়দায় পড়ের সাহারা খাতুন।

শুধু তাই নয়। অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুও একবার খানিখটা ধরা খেয়েছিলেন। অতিকথনের ফলে। সেই অভিজ্ঞাতা থেকেই তিনি নিজেকে সাবধান করে নিয়েছেন।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের বৈঠকের দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফ দেওয়ার আগে প্রতিমন্ত্রী অতিকথনের কথা উল্লেখ করে নিজের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করেন।

কিন্তু গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাগর-রুনির হত্যাকা-ের অগ্রগতি উল্লেখ করতে গিয়ে কিছু কথা বলেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেন তা কোড না করতে।

সাগর রুনির হত্যকা-ে রুনির পরিবার তেমন সহায়তা করেনি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো ছিলো না। তারা ভিন্নতর জীবন যাপন করতেন।

বক্তব্য শেষ হতে না হতেই সাংবাদিক নেতা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে প্রতিবাদ জানান অন্যান্য সাংবাদিক নেতারা। তরা বক্তব্য প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

পরিস্থিতি সামলাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামলাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন “ ‘অতিকথনের ছিদ্রপথে সাংবাদিকরা ঢুকে পড়লে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে আমি আগেই বলেছিলাম।’

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ১, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.