নওয়াজ শরিফের সামনে কঠিন পথ

মে ১৩, ২০১৩

923041_10151694608199673_1602071032_nঢাকা জার্নাল: তৃতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ৷ ফলে বলা যায়, তিনিই পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাজনীতিবিদ৷ কিন্তু শুধুমাত্র নিজ ক্ষমতা দিয়েই কী তিনি পাকিস্তানকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারবেন?

শনিবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷ দেশি, বিদেশি বিশ্লেষকরা নানাভাবে পাকিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করছেন৷

জঙ্গিদের প্রতি নমনীয়

পশ্চিমের কাছে নওয়াজ শরিফ হচ্ছেন একজন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ৷ শরিফ নিজেও সবসময় মার্কিনিদের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন৷ ফলে আপাতদৃষ্টিতে তাঁর নির্বাচনে জয়লাভে পশ্চিমা দেশগুলো স্বস্তি পেলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়৷ সেটা জঙ্গিদের প্রতি নওয়াজ শরিফের কথিত নমনীয় মনোভাব নিয়ে৷ কেননা অতীতে দেখা গেছে, তালেবান সহ অন্যান্য জঙ্গি দমনে নওয়াজ শরিফের সরকার তেমন কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি৷

রাতারাতি পরিবর্তন

নির্বাচনি প্রচারণার সময় নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানিদের ভাগ্যে রাতারাতি পরিবর্তন আনার অঙ্গীকার করেছিলেন৷ জ্বালানি সমস্যা দূর করা সহ পাকিস্তানিরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা দূর করার অঙ্গীকার করেছিলেন৷ এখন যেহেতু নির্বাচন শেষ তাই ভোটাররা এখন শরিফ কী করেন সে দিকে তাকিয়ে রইবেন৷

নির্বাচনে বাজেভাবে হেরে যাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরকার জ্বালানি খাতে ইরানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন৷ যেটার সরাসরি বিরোধিতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ নওয়াজ শরিফ এই সখ্যতায় ছেদ আনতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ কেননা ১৯৯৯ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সৌদি আরবে ছিলেন নওয়াজ শরিফ৷ ফলে সৌদ আরবের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা ও সুন্নি মুসলমান শরিফ শিয়া প্রধান ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চাইবেন না বলেই মনে হয়৷

নওয়াজ শরিফের জন্ম লাহোরের সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারে৷ তাই ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ রয়েছে৷ এটা কাজে লাগিয়ে তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে উদ্যোগ নিতে পারেন৷ এতে করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হতে পারে৷

গণতন্ত্রের জয়

পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় জয়টা এসেছে জনতার৷ কেননা তালেবানের হুমকিকে দূরে সরিয়ে বিপুল সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন৷ এবার ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৬০ শতাংশ৷ ২০০৮ সালে যেটা ছিল মাত্র ৪৪৷

পাশাপাশি আরেকটা সাফল্যের কথা উল্লেখ করা যায়৷ সেটা হচ্ছে, সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ আফগানিস্তান সীমান্তের সঙ্গে থাকা তালেবানের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত খাইবার পাকতুনখোয়া রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে৷ এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবেও দলটি বেশ ভালো করেছে৷ যদিও ইমরান খান আরও ভালো করার আশার করেছিলেন৷

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.