রাগীব আলী কারাগারে

নভেম্বর ২৪, ২০১৬

ragib_aliঢাকা জার্নাল: সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ ও জালিয়াতির দুটি মামলা ‍তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সিলেট জেলা জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, বিকেলে আদালতে রাগীব আলীর পক্ষে জামিন আবেদন জানানো হয়। তবে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাগীব আলীকে ভারতের করিমগঞ্জ থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। রাগীব আলীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়ে ছিলেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা।

পরে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় সিলেটের বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে রাগীব আলীকে হস্তান্তর করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। বিকাল পৌনে ৫টায় তাকে সিলেট আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং জালিয়াতির আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রোজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। এ ছাড়া মামলার আসামি রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ গত ১০ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১২ নভেম্বর রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার আরেক আসামি পঙ্কজ কুমার গুপ্ত জামিনে রয়েছেন।

৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার ওপর তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। নব্বইয়ের দশকে জালিয়াতির মাধ্যমে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এ নিয়ে চলা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২৪, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.