২০১৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিডিউল

ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫

29ক্রীড়া প্রতিবেদক: নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত সবাই। কেউবা পরিবারের সঙ্গে, কেউবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। কেউবা একাকী বসে নতুন বছরের পরিকল্পনা করছেন। কেউবা পুরনো ব্যর্থতার হিসেব কষছেন। পুরনোকে ভুলে নতুনের পথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৫ সালকে বিদায় করে ২০১৬ সালকে বরণ করছে সবাই। তবে ক্রিকেটাঙ্গণে ২০১৫ সালকে কেউ ভুলতে পারবে না। কারণ বাঘের গর্জন এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রকম্পিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু হয়ে সে গর্জন থামে ঢাকায়। আফগানিস্তানকে হারানোর মধ্য দিয়ে বছর শুরু বাংলাদেশের। এরপর স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ডকে সহজেই হারায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের পর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষ ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়। শেষে জিম্বাবুয়ে বধ।

ওয়ানডের মত টেস্টেও বেশ সাফল্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রায় হেরে যাওয়ার টেস্ট ড্র করে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ড্র বাংলাদেশের প্রাপ্তি কোটাকে পূরণ করে দেয়। টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হারলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ।

২০১৫ সালের মত ২০১৬ সালেও বাংলাদেশ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখাবে সে প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমিদের। চলতি বছরের মত নতুন বছরে বাংলাদেশ ব্যস্ত সিডিউল পাড় না করলেও দেশে ও দেশের বাইরে ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত থাকবে টাইগাররা।

এক নজরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ২০১৬ সালের সিডিউল দেখে নেওয়া যাক :

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজ

বছরের শুরুতেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে জিম্বাবুয়েকে। জানুয়ারি মাঝপথে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। একটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা দুই দেশের। যদিও জিম্বাবুয়ে টেস্টের পরিবর্তে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে চাচ্ছে।

এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি

টানা তৃতীয়বারের মত এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় ও ফতুল্লাতে এশিয়া কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাঁচ দলের এশিয়া কাপে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

এশিয়া কাপের আমেজ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ মাঠে নেমে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর বসবে। প্রথম রাউন্ডের বাঁধা টপকে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড বা সুপার টেন খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডস ও ওমান। সুপার টেনে খেলতে পারলে বাংলাদেশ খেলবে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

ভারত সফর

২০১৬ সালে প্রথমবারের মত ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর সেটাই হবে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফর। আগস্টের শেষ দিকে ভারতে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি ইডেন গার্ডেনসে হওয়ার কথা রয়েছে। ২৫ বছর পর ইডেন গার্ডেনসে খেলবে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ

অক্টোবরের ইংল্যান্ডকে আতিথীয়তা দেবে বাংলাদেশ। ২০০৩/০৪ ও ২০০৯/১০ সালের পর চতুর্থবারের মত বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এবারের সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা রয়েছে দুই দলের। তবে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই।

 নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ

বছরের শেষ প্রান্তে ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার সিডিউল রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে দুই দলের। তবে সফরটি শেষ হতে ২০১৭ সাল হয়ে যাবে। ২০০১/০২, ২০০৭/০৮, ২০০৯/১০ সালের পর চতুর্থবারের মত নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ করবে বাংলাদেশ।

নোট: আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী সিডিউল তৈরী করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে এ সিডিউলে পরিবর্তন আসতে পারে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.