মান্নার রিমান্ড বাতিল, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

ডিসেম্বর ১০, ২০১৫

20রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ বাতিল করে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। মান্নাকে রিমান্ডে নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হাইকোর্টের রুলের নিষ্পত্তি করে আজ (বৃহস্পতিবার) এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। বিষয়টি জানিয়েছেন মান্নার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান বলেন, ‘আদালত তার রায়ে মান্নাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে, পুলিশি হেফাজতে নয়।’ এ বিষয়ে মান্নার করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। রায়ের জন্য আজ মান্নার এ মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ১০৫ নম্বরে ছিল। কার্যতালিকায় লেখা ছিল মাহমুদুর রহমান মান্না বনাম রাষ্ট্র। এর আগে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ আহমেদ মান্নাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক তা মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড চলাকালীন তিন দিন পর মান্না অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পর বাকি থাকা সাত দিনের রিমান্ডের বিষয়ে আবারো আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। সেই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন মান্না। সেই আবেদনের শুনানি করে উচ্চ আদালত মান্নাকে রিমান্ডে নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেন। প্রসঙ্গত, সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলায় চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মান্নার রিমান্ড চলাকালেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকেও আসামি করা হয়। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নার সঙ্গে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকার টেলিফোন আলাপের একটি অডিও ক্লিপ গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এতে মান্নার বিরুদ্ধে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। সে ক্লিপে ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার সঙ্গে আলাপচারিতায় সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলা নিয়ে মান্নাকে কথা বলতে শোনা যায়। এই কথোপকথন ফাঁসের পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ মান্নাকে গ্রেপ্তার করে। টেলি কথোপকথনে সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে প্রথম দফায় রিমান্ডে পায় পুলিশ। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মান্না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান। এরপর আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.