ফেসবুক খুলে দেওয়া হল

ডিসেম্বর ১০, ২০১৫

19সচিবালয় প্রতিবেদক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন,  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে জননিরাপত্তার স্বার্থে অন্যান্য অ্যাপস বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি খুলে দেওয়া হয়। দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে সারাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের ডেস্কটপ-ল্যাপটপ-ট্যাব-স্মার্টফোনে মাধ্যমটি সচল দেখতে পান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তারানা হালিম বলেন, সরকারের সিদ্থান্ত ফেসবুক খুলে দেওয়া হচ্রছে।তবে হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমোসহ অন্য মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে সেসব মাধ্যমও খুলে দেওয়া হবে।

প্রেস ব্রিফিং চলাকালেই বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে ফোন করে ফেসবুক খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনার পরপরই সংশ্লিষ্ট ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও অপারেটদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ। তাদের বৈঠকের পরপরই খুলে যায় বন্ধ থাকা ফেসবুক।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ নভেম্বর ফেসবুক বন্ধ করে দেয় সরকার। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপও। ২১ নভেম্বর রাতে দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের আপত্তিকর আধেয় ও ব্যবহার নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলা হয়।

এরপর গত ৬ ডিসেম্বর এ নিয়ে মাধ্যমটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারের তিন মন্ত্রী। তাদের বৈঠকের পর জানানো হয়, ফেসব‍ুকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় ফেসবুক খুলে দেওয়ার আভাস দেওয়া হয়।

অবশেষে বৃহস্পতিবার মাধ্যমটি খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।

ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.