গণতন্ত্র রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

ডিসেম্বর ১০, ২০১৫

21চট্টগ্রাম : দেশের গণতন্ত্রতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ও জাতীয় উন্নয়নে বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনী তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। যিনি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ২০১৫ এ সালাম গ্রহণ শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক ধারবাহিকতা রক্ষায় ও জাতীয় উন্নয়নে বেসমারিক প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনী তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেনাবাহিনীর তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি চৌকস ও গতিশীল বাহিনী হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদা লাভ করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত সাত বছর ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর উন্নয়নে আমাদের সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যার ফলে এই বাহিনী একটি চৌকস ও গতিশীল এবং মর্যাদাপূর্ণ বাহিনী হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত লাভ করেছে।’

‘সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে জতির জনক বঙ্গবন্ধু ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার কাজ করছে। আগামীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব দরবারে আরো গতিশীল, চৌকস ও মর্যাপূর্ণ বাহিনী হিসেবে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা রাখছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশের উন্নতি হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সূখী, সমমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্রে উন্নতি হবে। সরকার সেই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে।’ এসময় নতুন সেনা অফিসারদের দেশ ও জাতির সেবায় শেষ রক্তবিন্দু ত্যাগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এরআগে বাংলাদেশ মিলিটরি একাডেমির (বিএমএ) ৭৩তম দীর্ঘ মেয়াদী এবং ৪৪তম স্বল্প মেয়াদী কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান তথা রাষ্ট্রপতি কুচকুওয়াজ ২০১৫ এ নবীন ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর এই দুই ব্যাচের সেরা ক্যাডেটদের পুরষ্কৃত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, বিএমএ কমান্ডেন্ট মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সিইও মেজর জেনারেল সফিকুর রহমানসহ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধ্বতন সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিদায়ী ক্যাডেটদের অভিভাবকবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সকাল ১১টায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের বিএমএতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  অনুষ্ঠানের পর জোহরের নামাজ আদায় ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে দুপুর ২টার পর হেলিকপ্টারযোগে ফের ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.