যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩৬ দিনে ৩৫৫ ‘বন্দুক হামলা’

ডিসেম্বর ৩, ২০১৫

17 যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার আবারো বন্দুকধারীদের হামলায় ১৪ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। এ সব অধিকাংশ হামলার ধরন প্রায় একই। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এক বা একাধিক বন্দুকধারী হঠাৎ কোনো স্কুল বা জনসম্মুখে এলোপাথাড়ি গুলি শুরু করে। এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বারবার ঘটছে। ধারণা চেয়েও অনেক বেশি বন্দুকহামলার ঘটনা ঘটছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। কারণ অধিকাংশ ঘটনাই জাতীয় ইস্যুতে রূপ নেয় না। এবছর জানুয়ারির শুরুর দিন থেকে ২ ডিসেম্বর বুধবার পর্যন্ত ৩৩৬ দিনে মোট ৩৫৫ টি ম্যাস শ্যুটিং বা বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যেসব হামলায় বন্দুকধারী বা হামলার শিকার মানুষের সংখ্যা চার বা তার বেশি, শুধু সেসব হামলার কথা বলা হয়েছে এখানে এবং এসব হামলাকে ‘ম্যাস শ্যুটিং’ বলা হয়েছে। এর বাইরে একজন, দুইজন কিংবা তিনজন আহত বা নিহত হয়েছে এরকম বহু বন্দুক হামলা ঘটেছে, যেসবকে এ হিসাবের মধ্যে ধরা হয়নি। এ ৩৫৫টি ঘটনায় মোট ৫০২ জন নিহত ও ১২৬৬ জন আহত হয়েছে। শ্যুটিং ট্র্যাকার নামের একটি ওয়েবসাইট প্রতিটি ঘটনায় আহত ও নিহতের হিসাব দেওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি ঘটনার খবরের লিংকও সংরক্ষণ করেছে। ম্যাস শ্যুটিং-এর কোনো সংজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্তৃপক্ষ, এফবিআই বা গণমাধ্যম এখনো জানায়নি। তবে ‘শ্যুটিং ট্র্যাকার’ যেসব হামলায় কমপক্ষে চারজন আহত (যদি নিহত নাও থাকে) বা নিহত হয়েছে, এমন হামলাগুলোকে ম্যাস শ্যুটিং হিসেবে গণনা করেছে। সর্বশেষ বুধবার একদিনেই যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত দুটি বন্দুক হামলার ঘটনা আছে। বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে স্যান বারনার্ডিনো শহরের ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টারে বন্দুকধারীর হামলায় ১৪ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। এটি ছিল বুধবারের দ্বিতীয় হামলা। দিনের প্রথম হামলাটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য জর্জিয়ায়। এখানে বন্দুকধারীদের হামলায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।  গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার সংখ্যা ও এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র সমালোচনারও জন্ম দিয়েছে। এসব হামলা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। বছরের শুরুর দিন থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত যতগুলো ম্যাস শ্যুটিং বা বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। এখানে দিন অনুসারে হামলার সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আহত বা নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.