আলু আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি নাগরিক সমাবেশে

নভেম্বর ১৩, ২০১৫

09ফসলের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করতে মূল্য কমিশন গঠন ও আলু আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি  নাগরিক সমাবেশে  ,কৃষকের উৎপাদিত ফসলের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। প্রবিছর কৃষক যে ফসল উৎপাদন করে,তার যথাযথ মূল্য পায় না। সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলেও দেখা যায়, তাতে কৃষকের চেয়ে ফড়িয়া-মহাজনরা বেশি লাভবান হয়। এজন্য মূল্য কমিশন গঠন করে ফসল উঠার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে ফসলের মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দিতে হবে, যাতে চাষীর ক্রেতার সাথে দরকষাকষির সুযোগ সৃষ্টি হয়। একইসাথে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও আলু আমদানি করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

আলুচাষীদের স্বার্থ পরিপন্থি আলু আমদানীর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ, ১৩ নভেম্বর ২০১৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল) ও অক্সফামের এর আয়োজনে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক সমাবেশে নাগরিক সংহতির সাধারন সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কৃষক জোট এর সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ ভ’মিহীন সমিতির সাধারন সম্পাদক সুবল সরকার, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র জাতীয় পরিষদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট জীবেনান্দ জয়ন্ত ও সিএসআরএল এর সমন্বয়ক প্রদীপ কুমার রায় প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতিবছর দেখা যায় আলুর উঠার পরে কৃষক আলুর লাভজনক দাম না পেয়ে গরুর খাবার হিসাবেও ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। কখনও কখনও ক্ষুব্ধ হয়ে আলু রাস্তায় ফেলে দেন, তখনই সরকারের টনক নড়ে। আমরা চাই না, এবছরও সেই ধরণের পরিস্থিতি তৈরী হোক। হিমাগার মালিক সমিতি জানিয়েছে, হিমাগারগুলোতে এখনও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আলু মজুদ আছে। সুতরাং দেশে আলুর কোনো সংকট নেই। আবার নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় একটি মহল ভারত থেকে আলু আমদানি করছে এবং কৃষক স্বার্থবিরোধী এই কাজটি হচ্ছে খুব দ্রুততার সাথে।

সমাবেশ থেকে বলা হয়, এই আমদানির ফলে কৃষক দুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রথমতঃ হিমাগারে থাকা আলু বাজারে বিক্রি করতে পারবে না, আবার হিমাগাওে আলু থাকায় নতুন আলু সংরক্ষণের জায়গা পাবে না, দামও পাবে না। বক্তারা বলেন, এই এই সরকার যতোটা কৃষিবান্ধব, ততোটা কৃষকবান্ধব নয়। কিন্তু সরকারকে কৃষি ও কৃষক- দুটোর স্বার্থই রক্ষা করতে হবে। বক্তারা আলু রপ্তানীতে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, কৃষক পর্যায়ে সুদমুক্ত আলু সংরক্ষণ ঋণ, হিমাগারে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ, সরকারি উদ্যোগে হিমাগার ও আলুভিত্তিক শিল্প স্থাপন ও কৃষকদের আলু সংরক্ষণের প্রযুক্তি জ্ঞান প্রদান করার দাবি দাবি জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভিজিএফ কার্ডে চালের সাথে আলু প্রদানের সিদ্ধান্ত অজ্ঞাত কারণে ঝুলে আছে। এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হলে আলু নিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.