জনপ্রিয় কিন্তু নিষিদ্ধ ১৩ সিনেমা

নভেম্বর ৫, ২০১৫

35নাবীল অনুসূর্য : অন্য যে কোনো শিল্পের মতো সিনেমাও আলোচিত হয়, বিতর্কিত হয়। কখনো মানবিক মূল্যবোধের কারণে, কখনো ধর্মানুভূতির কারণে, কখনো অতি হিংস্র দৃশ্যের কারণে, কখনো আবার নগ্নতা-যৌনতার কারণে। আর এই আলোচনা-বিতর্ক সিনেমাটির দর্শকদের তো প্রভাবিত করেই। এমনিতেই সিনেমাকে বলা হয় সবচেয়ে শক্তিশালী শিল্পমাধ্যম। কেননা, একে তো সিনেমা অন্য সব মাধ্যমকে ধারণ করে, তার উপর এটারই দর্শকের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। আর তাই বেশি বিতর্কিত হলে কর্তৃপক্ষ প্রায়ই নিরাপদ পথে হাঁটেন। অর্থাৎ সিনেমাটি নিষিদ্ধ করে দেন।36

যেমন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি থাকায় কয়েক বছর আগেই আমাদের দেশে নিষিদ্ধ হয়েছিল মেহেরজান। এ রকম নিষিদ্ধ হওয়া সিনেমার তালিকা অনেক লম্বা। প্রতি বছরেই নানা দেশে কিংবা বিভিন্ন দেশের নানা রাজ্যে কিছু না কিছু সিনেমা নিষিদ্ধ হয়ই। কেননা বিভিন্ন দেশের দর্শকদের রুচি-চাহিদা কিংবা ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ এক না। সেই তালিকা থেকে অন্যতম সেরা তেরটি সিনেমার গল্প থাকছে আজ।

দ্য লাস্ট টেম্পটেশন অফ জেসাস (১৯৮৮) : মার্টিন স্করসিসের এই সিনেমাটি নির্মাণের দিক দিয়ে মাস্টারক্লাস হলে কী হবে, গল্পটা একটু বেশিই সংবেদনশীল। সিনেমাটিতে যীশুর চরিত্র নির্মাণ করা হয়েছে মানবীয় দোষ-ত্রুটি লোভ-লালসা ভয়-ক্রোধ-ভালোবাসা দিয়ে। বিশেষ করে মেরি ম্যাগডালিনের সঙ্গে যীশুর ভালোবাসা তো বটেই, শারীরিক সম্পর্কও দেখানোটা রক্ষণশীল খ্রিষ্টানরা মোটেই ভালো ভাবে গ্রহণ করেনি। আর তা একেবারেই সহ্য করতে পারেনি বেশ কিছু দেশের সেন্সর বোর্ড বা রেটিং অথরিটি। দেশগুলোর মধ্যে আছে তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মেক্সিকো, চিলি এবং আর্জেন্টিনাও।

অ্যাভাটার (২০০৯) : ঘটনাটা বিস্ময়কর। অ্যাভাটারের মতো সিনেমা নিষিদ্ধ হওয়াটা শুধু বিস্ময়করই না, সে দেশের দর্শকদের জন্য হতাশারও বটে। শুধু ব্লকবাস্টার বলেই না, নির্মাণশৈলী, প্রযুক্তির ব্যবহার, কাহিনি, সব কিছু মিলিয়েই অ্যাভাটার দেখার মতো একটি সিনেমা। অন্য গ্রহের আদিবাসীদের প্রকৃতি-নির্ভর জীবনে ব্যাঘাত ঘটিয়ে মানুষের দখলদারিত্বের চক্রান্ত প্রতিহত করার গল্প এটি। আর সে গল্পেও কেন যেন বাধ সাধে চীন; সে দেশে সিনেমাটি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। অবশ্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয় মুক্তির দুই সপ্তাহ পরে। ততদিনে যাদের দেখার, তারা ঠিকই দেখে ফেলেছিল জেমস ক্যামেরনের এই মাস্টারপিস।

ন্যাচারাল বর্ন কিলার্স (১৯৯৪) : অলিভার স্টোন পরিচালিত এই সিনেমাটির গল্প এক খুনি দম্পতিকে নিয়ে। তাদের দুজনেরই খুনি হয়ে ওঠার পেছনে আছে দুঃসহ ছোটবেলার স্মৃতি। পরে কেবল আলোচিত সিরিয়াল কিলারই না, আমেরিকার সবচেয়ে আলোচিত দম্পতি হয়ে ওঠে তারা। রীতিমতো তারকা খ্যাতি জুটে যায়। ক্রাইম-থ্রিলার সিনেমাটাও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সিনেমাটা দেখে, অনুকরণে একই রকমর কিছু অপরাধও সংঘটিত হয়। এর মধ্যে বেশি বিখ্যাত কলম্বাইন হাই স্কুল ম্যাসাকার এবং মন্ট্রিয়লের ডাসেন কলেজ শুটিং। এসব দেখেশুনে আয়ারল্যান্ড সিনেমাটি নিষিদ্ধই করে দেয়।

দ্য বার্থ অব অ্যা নেশন (১৯১৫) : হলিউডের ইতিহাসে সিনেমাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাক যুগের সিনেমাটি এখনও অবশ্য-পাঠ্য হিসেবেই ধরা হয়। তবে সিনেমাটিতে বর্ণবাদ ইস্যুতে সংবেদনশীল বেশ কিছু অংশও আছে। বিশেষ করে এক আফ্রিকান নিগ্রো চরিত্রকে যেভাবে সেক্সুয়ালি এগ্রেসিভ চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়, তা অনেক বেশিই অসংলগ্ন ঠেকে। আর সে কারণেই সিনেমাটি মুক্তির পর বিতর্কের ঝড় ওঠে। এমনিতেই তখন বর্ণবাদ যাকে বলে বার্নিং ইস্যু। ফলে শিকাগো, মিনেসোটার মতো রাজ্যগুলোতে সিনেমাটির মুক্তির ছাড়পত্রই মেলেনি।

বোরাত: কালচারাল লার্নিংস অব আমেরিকা ফর মেক বেনিফিট টু দ্য গ্লোরিয়াস নেশন অফ কাজাখস্তান (২০০৬) :সিনেমাটি ফিচার ফিল্মের আকার-প্রকারের হলেও, এটিকে মকুমেন্টারি বলাটাই যুক্তিসঙ্গত। মার্কিন নাগরিকরা অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে অনুন্নত দেশের মানুষদের সম্পর্কে কী ভাবে, তারই এক ধরনের বিদ্রূপাত্মক প্রকাশ বোরাত। সে কারণেই কাজাখ সাংবাদিক বোরাতকে দেখানো হয়েছে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, গোঁড়া, ইহুদী-বিদ্বেষী এক রক্ষণশীল চরিত্র হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রায় সব আরব দেশেই সিনেমাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। রাশিয়ারও কিছু কিছু অঞ্চলে সিনেমাটি ছাড়পত্র পায়নি।

মন্টি পাইথন’স লাইফ অব ব্রায়ান (১৯৭৯) : ব্রিটেনে কমেডির জগতের বিটলস বলা হয় মন্টি পাইথন গ্রুপটিকে। তাদের কাহিনি ও পরিচালনায় কমেডি ধাঁচের সিনেমাগুলো বেশ কৌতুকাবহপূর্ণ। আর এই হাস্যরস সৃষ্টি করতে গিয়ে প্রতিটি সিনেমাতেই তারা কোনো না কোনো বিতর্ক উস্কে দিতেন। বিতর্কটা যখন যীশুকে নিয়ে, তখন তো গোঁড়া খ্রিষ্টানদের ব্যাপারটা হজম করতে কষ্টই হয়। তেমনটাই হয়েছে এই সিনেমাটিতে। সিনেমাটির মূল চরিত্র ব্রায়ান যীশুর সঙ্গে একই দিনে একই সময়ে একই ভাবে জন্মায়। ওদের জন্মও হয় পাশাপাশি বাসায়। আর যীশুর সঙ্গে তার এত মিল থাকায় যে সমস্যা হয়, তাকে প্রায়ই মানুষজন যীশুর সাথে গুলিয়ে ফেলে। সব মিলিয়ে সিনেমাটির বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগে ব্রিটিশ এই সিনেমাটি সেখানকার বিভিন্ন অঞ্চলেই নিষিদ্ধ হয়। এমনকি নরওয়ে, আয়ারল্যান্ডের মতো উদার হিসেবে পরিচিত দেশগুলোও সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয়নি।

দ্য টেক্সাস চেইন স ম্যাসাকার (১৯৭৪) : এখন এই সিনেমাটিকে অন্যতম ক্ল্যাসিক হরর সিনেমার স্বীকৃতি দেয়া হয়। পরে সিনেমাটির আরও পাঁচটা সিক্যুয়াল হয়েছে। সিনেমাটি যখন মুক্তি পায়, তখন সিনেমাটির নৃশংসতা সবার কাছে একটু বেশিই ঠেকেছিল। সিনেমাটি হরর সিনেমার গল্পের এক নতুন ধারা উন্মোচন করে। তারচেয়েও বেশি সমস্যা করেছিল এই দাবি যে, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। আদতে অমন ভয়ংকর কোনো ঘটনা তখন ঘটেইনি। যেটা হয়েছিল, এক খুনের ঘটনা থেকে সিনেমাটার ভাবনা মাথায় আসে। সব মিলিয়ে সিনেমাটি ব্রিটেন, জার্মানি, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু দেশেই নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

ক্যানিবল হলোকাস্ট (১৯৮০) : সিনেমাটি সর্বকালের অন্যতম বিতর্কিত সিনেমা। এর কাহিনি মূলত আমাজনের ক্যানিবল তথা নরখাদক গোত্রদের নিয়ে। আমাজনের এই গোত্রদের উপর ডকুমেন্টারি বানাতে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় চার জনের একটি দল। তাদের উদ্ধারে অভিযানে নামে আরেকটি দল। উদ্দেশ্য, ওই চারজন এবং তাদের ধারণকৃত ফুটেজ উদ্ধার। আর বকিটুকু তো নাম দেখেই অনুমেয়। সিনেমাটি ইতালি, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রায় সব দেশেই নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এমনকি পরিচালক রজারো দেওদাতোর বিরুদ্ধে সেই নিরুদ্দেশ চার অভিনেতা খুনের মামলাও করা হয়। তাকে প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করতে হয়, কীভাবে এতটা বাস্তবধর্মী হলো দৃশ্যগুলো। শেষমেশ তিনি সিনেমার সকল কুশীলবদের আদালতে হাজির করে তবেই মুক্তি পান। তবে সিনেমাটিতে প্রাণীদের অত্যাচার করার জন্য যে মামলা তাতে তাকে ঠিকই শাস্তি পেতে হয়।

দ্য দা ভিঞ্চি কোড (২০০৪) : ড্যান ব্রাউনের রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের এই বইটি বের হওয়ার পরেই বেশ বিতর্কিত হয়েছিল। অনেক দেশে নিষিদ্ধও হয়েছিল। কাজেই হোলি গ্রেইল, ওপুস দেই, যীশুর উত্তরসূরীর মতো সংবেদনশীল বিষয় ঘিরে আবর্তিত এই থ্রিলার সিনেমাটিও যে রক্ষণশীল খ্রিষ্টানদের তোপের মুখে পড়ে নিষিদ্ধ হবে, তা খুবই স্বাভাবিক। সিনেমাটি এমনকি মিশর, জর্ডান, লেবানন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোতেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল।

ইন্ডিয়ানা জোন্স এন্ড দ্য টেম্পল অব ডুম (১৯৮৪) : ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের অন্যান্য সিনেমাগুলোর চেয়ে এটি একটু বেশিই হিংস্র। পরে পরিচালক স্পিলবার্গও তা স্বীকার করেন। সে জন্যই সিনেমাটি আমেরিকায় পিজি-১৩ ক্যাটাগরিতে কীভাবে ঠাঁই পেল, তাই নিয়েও বেশ আলোচনা হয়েছিল। তবে সিনেমাটির নিষেধাজ্ঞার কারণ অন্য। সিনেমাতে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্ম বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, এই যুক্তিতে সিনেমাটিকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

দ্য এক্সরসিস্ট (১৯৭৩) : আধুনিক হরর সিনেমাজগতের অন্যতম সেরা কাজ হিসেবে ধরা হয় এই সিনেমাটিকে। ১৯৪০-র দশকে ব্রিটিশ পাদ্রি রোল্যান্ড ডো-র এক্সরসিজম বা শয়তানের উপাসনা করার খবর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। তারই এক ঘটনার অনুকরণে উইলিয়াম পিটার ব্ল্যাটি একই নামের একটি উপন্যাস লেখেন। পরে সেখান থেকেই সিনেমাটি বানানো হয়। আর বানানোর সময় একের পর এক দুর্ঘটনায় এমন গুজবও ছড়িয়ে পরে যে, সিনেমাটাই অভিশপ্ত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সিনেমাটি মুক্তি পায়। আস্তে আস্তে দর্শকপ্রিয়তাও পেতে থাকে। সিনেমাটি এক সময় হরর সিনেমার সবচেয়ে আয় করা সিনেমাগুলোর কাতারেও ঢুকে পরে। তবে প্রযোজনা সংস্থা ওয়ার্নার ব্রাদর্সের নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। তাই সিনেমাটির ভিডিও কপি ব্রিটেনের বাজারে ছাড়া হয় ১৯৮৪ সালে। আর ১৯৮৬ সালেই সিনেমাটি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৯৯ সালে এসে সিনেমাটি আনকাট ছাড়পত্র পায়।

অ্যা সার্বিয়ান ফিল্ম (২০১০) : সার্বিয়ান ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদের এই সিনেমাটি জার্দান সাসোজেভিচের ডেব্যু সিনেমা। সিনেমাটি এক বুড়িয়ে যাওয়া পর্নো অভিনেতার কাহিনি। অর্থকষ্টে থাকা সেই অভিনেতা ভালো পারিশ্রমিকের আশায় একটি আর্ট ফিল্মে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু পরে আবিষ্কার করেন, সেটি একটি পেডোফেলিক স্নাফ সিনেমা। ততদিনে সে এমনভাবেই জড়িয়ে গেছে যে, মুক্তির আর পথ নেই। সিনেমাটিতে শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা এতটাই বাস্তবসম্মতভাবে দেখানো হয়েছে, সিনেমাটি হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিককালের অন্যতম বিতর্কিত সিনেমা। নিষিদ্ধ হয়েছে স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, নরওয়ে; সাময়িকভাবে ব্রাজিলেও। শুধু তাই না, সার্বিয়াতে সিনেমাটি নিয়ে তদন্তও হয়েছে, শুটিংয়ের সময় শিশু নির্যাতন বা অন্য কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা।

অ্যা ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ (১৯৭১) : স্ট্যানলি কুব্রিকের অন্যতম সেরা সিনেমা। অ্যান্থনি বার্গাসের একই নামের উপন্যাসিকা অবলম্বনে বানানো এই ক্রাইম-ড্রামাটি আলোচিত হয় যৌনতা আর নগ্নতার দৃশ্যগুলোর জন্য। বিশেষত কুব্রিকের জাদুতে সেই দৃশ্যগুলোও অসাধারণ হয়ে ওঠে। সিনেমাটিকে অনেকে টর্চার পর্নোও বলতে থাকে। সিঙ্গিং ইন এ রেইন-কে বদলে সিঙ্গিং ইন এ রেইপ হিসেবে গাওয়ানোরও সমালোচনা করা হয়। আমেরিকাতে প্রথমে সিনেমাটি এক্স-রেটেড হয়। পরে দুইটি দৃশ্যে ৩০ সেকেন্ড ছেঁটে ফেলে কুব্রিক সিনেমাটিকে আর-রেটেড বানান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এত সহজে মুক্তি মেলেনি। সেখানে সিনেমাটির অনুকরণে অপরাধ একেবারে আদালতেই প্রমাণিত হয়। কুব্রিকের বাড়ি ঘেরাও হয়। পরে কুব্রিক নিজেই ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে বলে ব্রিটেন থেকে সিনেমাটি প্রত্যাহার করে নেন। স্কালা সিনেমা ক্লাব একবার সিনেমাটির প্রদর্শনী করে জরিমানাও দেয়। পরে ১৯৯৯ সালে কুব্রিকের মৃত্যুর পর, দীর্ঘ ২৭ বছর পর আবার যুক্তরাজ্যে সিনেমাটি প্রদর্শনের অনুমতি পাওয়া যায়।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.