রাকের মসুলে ১৩ গণমাধ্যমকর্মীকে হত্যা করেছে আইএস

অক্টোবর ৩০, ২০১৫

05২০১৪ সালে ইরাকের মসুল শহর দখল করে নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩ জন সাংবাদিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীকে হত্যা করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস সংক্ষেপে আরএসএফ-এর বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, উগ্রপন্থী এই জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে সাংবাদিকরা ‘প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিণত হয়েছেন। ১৬ মাস আগে মসুলে অপহৃত ৪৮ গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে অন্ততপক্ষে ১০ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
আরএসএফ বলছে, স্থানীয় টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইএস। আর এরপর থেকে মসুলের কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় না। আইএস শহরটিকে ‘তথ্যের কৃষ্ণগহ্বরে’ পরিণত করেছে। আরএসএফ-এর মধ্যপ্রাচ্য ও মাগরেবের প্রধান আলেকজান্দ্রা এল খাজেন জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের স্টুডিওগুলোর যন্ত্রপাতিগুলো এখন ‘যুদ্ধের জঞ্জালে’ পরিণত হয়েছে।

ধারণা করা হয় আইএস জঙ্গিরা সামা মসুল টেলিভিশনের যন্ত্রপাতি জব্দ করে সেগুলো দিয়ে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে শহরটির গ্রেট মসজিদে গোষ্ঠীটির প্রধান স্বঘোষিত ‘খলিফা’ আবু বকর আল বোগদাদির ভাষণ ধারণ করা হয়। ওই ভাষণের মধ্যদিয়েই বোগদাদি সর্বপ্রথম জনসমক্ষে আসেন।
তখন থেকে ওইসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেই আইএস তাদের টেলিভিশন চ্যানের দাবিক এবং রেডিও স্টেশন আল-বয়ান চালিয়ে আসছে।
আরএসএফ জানিয়েছে, আইএসের কাছে মসুলের পতনের পর ৬০ জন সাংবাদিক শহরটি থেকে পালিয়ে যান। আরএসএফ আরো জানিয়েছে, কয়েকজন যারা আবার ফিরে গিয়েছিলেন তারা তাদের ভুলের মাশুল দিয়েছেন জীবন দিয়ে।
প্রায় ১৩ জন সাংবাদিকে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের খবর পাওয়া গেছে বলে আরএসএফ জানিয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই সপ্তাহের পর সপ্তা কিংবা মাসের পর মাস সময় লেগে যায়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.