মৃত্যুদণ্ড রহিত ও ফাঁসি স্থগিতের আহ্বান

অক্টোবর ১০, ২০১৫

12বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত এবং দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ মৃত্যুদণ্ড বিরোধী ইউরোপিয়ান ও আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ফেডেরিকা মোঘারিন ও কাউন্সিল অব ইউরোপের মহাসচিব থোরবোর্ণ জাগল্যান্ড এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।

এতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ইইউ নীতিগত বিরোধিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করছে। ইইউ মনে করে মৃত্যুদণ্ড একটি অমানবিক ও অপ্রয়োজনীয় শান্তি। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এটি অপরাধ প্রতিরোধে সহায়ক নয়। কোনো আইনি ব্যবস্থাই ত্রুটিমুক্ত নয়। মৃত্যুদণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যেকোনো ভুল বিচার নিরপরাধ জীবনের মর্মান্তিক ক্ষতি করতে পারে। সব মানুষের মানবাধিকারের চূড়ান্ত নিশ্চয়তা দেবার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার থেকে রাষ্ট্র কাউকে বঞ্চিত করতে পারে না।

ইইউর বিবৃতিতে বলা হয়, অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এটি অপরাধ প্রতিরোধে সহায়ক নয়। কোনো আইনি ব্যবস্থাই ত্রুটিমুক্ত নয়। মৃত্যুদণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যেকোনো ভুল বিচার নিরপরাধ জীবনের মর্মান্তিক ক্ষতি করতে পারে। সব মানুষের মানবাধিকারের চূড়ান্ত নিশ্চয়তা দেবার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার থেকে রাষ্ট্র কাউকে বঞ্চিত করতে পারে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড রোহিত করা বা এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করার একটি ধারা অব্যাহত রয়েছে। তারপরও বেশ কিছু সংখ্যক দেশ তাদের আইনি ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে, যা আশঙ্কাজনক। বিশ্ব থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলুপ্ত করার জন্য ইইউ সম্ভব সব পস্থায় কাজ করে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, ইইউ আশা করে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ড রোহিত ও দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখার জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে এবং বিশ্বে মৌলিক অধিকার ও মানবতার মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে। ২০১৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত মৃত্যুদন্ডের ব্যবহার স্থগিতকরণ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে কাউন্সির অব ইউরোপ ও ইইউ।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.