বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি, বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা পায়নি দুদক
অক্টোবর ৬, ২০১৫ ঢাকা: বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানকালে কোন তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে দুদকের মামলায় আসামি করা হয়নি। মামলার তদন্তকালে তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং তার বিষয়ে কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে আসামি করা হবে ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুরবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত মাসিক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিন এসব কথা বলেন।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যা পাই তা দিয়েই মামলা করি এবং পরবর্তী তদন্তকালে আরো অনেক নতুন বিষয় নতুন আসামি যোগ করা হয়। এই ভাবেই বেসিকব্যাংকের ৫৬টি মামলার তদন্ত কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তাই এই তদন্তকালে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তিনি বলেন, ‘মামলা হওয়া মানে এই নয় যে, তদন্তকাজ বন্ধ হওয়া হওয়া। আমরা হয়তোবা অনুসন্ধানকালে অনেক তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করতে পারি নাই, তবে সেগুলো সংগ্রহ করা হবে এবং কেউ দিতে না চাইলে সেগুলো জব্ধ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ডকুমেন্টগুলো এসেছিল সেগুলো এখন ও পর্যালোচনা চলতেছে।’
দুদরের পরিচালক ও বেসিক ব্যাংক মামলার তদারকি কর্মকর্তা নূর আহমদ বলেন, ‘অনুসন্ধান ও তদন্তকালের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। যেগুলো অনুসন্ধানকালে পারি না সেগুলো আমরা তদন্তকালে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। এজন্য আমরা অনুসন্ধানকালে অনুরোধ করে অনেক কাগজপত্র সংগ্রহ করি, তদন্তকালে সেগুলো আমরা আইনি ক্ষমতাবলে জব্দ করেত পারি কিন্তু অনুসন্ধানকালে এগুলো হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, তদন্তকালে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’
এসময় দুদকের মহাপরিচালক ড. মো. শামসুল আরেফিন তার লিখিত বক্তব্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পযর্ন্ত বিভিন্ন অভিযোগ, মামলা, চার্জশিট দাখিল এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করেন।