রাজন হত্যা, সোচ্চার প্রগতিশীল সংগঠন
জুলাই ১৩, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: সিলেটের কুমারগাঁওয়ে নির্মম নির্যাতনে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে সোচ্চার প্রগতিশীল ছাত্র ও যুব সংগঠন,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর,বাংলাদেশ এবং শিশু সাহিত্যিক ফোরাম মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সমাবেশ থেকে দাবি তোলা হয়- দেশে রাজনের মতো আর একটি শিশুকে যেনো আর হত্যাকাণ্ডের শিকার না হতে হয়।
সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরে ছাত্র ও যুব ইউনিয়ন নেতা কর্মী রা বলেন, আর শিশুর আর্তনাদে যেনো আমাদের শুনতে না হয়। তার ব্যবস্থা করুন।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দ্রত দষ্টান্তমুলক বিচার দেখতে চায় মানুষ। শিশু হত্যাকারিদের কোনোভাবেই যেনো ছাড় দেওয়া না হয়।
নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে মানববন্ধন চলাকালে যুব ইউনিয়নের সভাপতি কাফী রতন, সহসম্পাদক ত্রিদিপ সহা, সাংগাঠনিক সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার, উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রহমান মফিজ, খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা আবু সাঈদ ও অ্যাডভোকেট তোবারক আলী, সম্পাদক রুনু আলী, রাশেদ রহমান ও আমিনুর রহমান রানা, শিশু সাহিত্যিক ফোরামের আহ্বায়ক হুমায়ূন কবীর এবং যুগ্ম আহ্বায়ক পাশা মোস্তফা কামাল।
যুব ইউনিয়ন সভাপতি কাফী রতন বলেন, এসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে বিচার হীনতার কারণে।হত্যাকারিরা জানে তাদের বিচার হবে না। পুলিশকে টাকা দিয়ে নিতে নেওয়া হবে। আমারা রাজন হত্যার চিার চাই,দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এছাড়া আরো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেলে আরো একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিশু-কিশোর সংগঠন কলরব।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে গত বুধবার (০৯ জুলাই) নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।হত্যার পর ওইদিন দুপুরে একটি মাইক্রোবাস যোগে (ঢাকা মেট্টো-চ-৫৪-০৫১৬) তার মরদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় শহরতলীর কুমারগাঁও এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় মুহিত আলমকে আটক করে জালালাবাদ থানা পুলিশ।
সোমবার (১৩ জুলাই) গ্রেপ্তার মুহিত আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেটের মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন।
এর আগে আটকের পর মুহিত পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দিতে রাজন হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন।নির্যাতনকারীরাই শিশুটিকে পেটানোর ভিডিও ধারণ করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১৩, ২০১৫