আইএসের খিলাফতে ঈদের নামাজও নিষিদ্ধ!

জুলাই ১২, ২০১৫

ISঢাকা জার্নাল : ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখলে নিয়ে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার নামে একের পর এক ‘ফতোয়া’ জারি করে চলেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

রমজানে দিনে পানাহার করলে মৃত্যুদণ্ড, ধূমপান করলে কোতল, নারীরা জিনস পরতে পারবেন না- ইত্যাদি ‘নিয়ম-রীতি’র গ্যাঁড়াকলে সেখানকার বাসিন্দারা।

মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। মাসব্যাপি রোজা পালনের পর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তওবা করে পাপমুক্তির চেষ্টা করেন।

এবার সেই কাজেও বাগড়া দিল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সুন্নিজঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়াও নিষিদ্ধ করেছে জঙ্গিসংগঠনটি।

ইরাকের কুর্দি নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা রুদাও-এর খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের মসুল শহরে ঈদের নামাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইএস। সেখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

সংগঠনটির দাবি, প্রথম মূল ইসলামে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম কখনো ছিল না। তাই মসুলের কেউ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারবে না। এ নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানায় জঙ্গিসংগঠনটি। নিয়ম ভঙ্গকারীকে মৃত্যুদণ্ডসহ নানা শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কুর্দিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (কেডিপি) কর্মকর্তা ইসমত রাজাব জানিয়েছেন, আইএসের দখলে থাকা ইরাক ও সিরিয়ায় মুসলমানদের ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ হয়েছে। ‘মূল ইসলাম ধর্মে ‘ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম নেই’ উল্লেখ করে আইএস এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তথ্যসূত্র : ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস, আল-আরাবিয়া।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১২, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.