অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও শপথের দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী
এপ্রিল ১৫, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনায় তিন বাহিনীই সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াতে অনুগত থেকে দায়িত্ব পালনেেএকমত পোষণ করেছে।
যে কোন পরিস্থিতিতে শপথের দায়িত্ব হিসেবে সদস্য থেকে বাহিনী প্রধানগণ দ্বিধাহীনভাবে সংবিধান সংরক্ষণ করবেন।
সোমবার সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিশ আলী এ কথা বলেন।
এর আগে সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিশ আলীর সভাপিত্বে ২৩তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রপতি হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ছাড়া সেনাবহিনী প্রধান জেনারেল এনামুল করিম ভুইয়া, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল ইনামূল বারি, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব অংশ নেন।
বৈঠকে শেষে ইদ্রিশ আলী বলেন, “দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর বাহিনীর প্রধানরা কমিটির সভায় সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে একমত পোষণ করেছেন।”
এদিকে গত ২৪ মার্চে দেওয়া বগুড়ায় বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে উস্কানী হিসেবে নিয়েছে প্রতিরক্ষা কমিটি। কমিটিতে আলোচনায় বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য দিয়ে সংবিধান পরিপন্থি কাজ করেছেন। খালেদা জিয়ার শসস্ত্র বাহিনীকে উস্কানী দেওয়া এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
গত ২৪ মার্চ বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বগুড়া সদরের এক শোক সমাবেশে বলেছিলেন, বিশৃংখলা হলে সেনা বাহিনী বসে থাকবে না। সেনাবাহিনী সময় মতো তাদের কাজ করবে।
বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে সরকার উৎখাতের অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িত পলাতক ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে পরামর্শ দেয় কমিটি।
কমিটির বৈঠকে বলা হয়, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে। যে কোন উপায়ে যেন সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু থাকে সেদিকে নজর রাখারও সুপারিশ করা হয়।
দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলা হয় বৈঠকে।
হেফাজতে ইসলাম
কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হেফাজতে ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেন। তবে কমিটিতে তার বক্তব্যের বিরোধিতা করেন কমিটির অন্য সব সদস্যরা।
কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিশ বাংলানিউজকে বলেন, “ইসলামের হেফাজতকারী আল্লাহ, হেফাজতে ইসলাম নয়। যাদের ঈমান দুর্বল তারা মনে করে ইসলামের হেফাজত করবে হেফাজতে ইসলাম।”
সভাপতি আরো বলেন, “ঈমানের দুর্বলতায় বিচলিত হয়ে উন্মাদনা সৃষ্টি এবং ইসলাম হেফাজত করার দায়িত্ব তাদের কে দিয়েছে। বৈঠকে সদস্যরা প্রশ্ন করেন, হেফাজতে ইসলাম কুরআনের কোন স্থানে রয়েছে?”
এছাড়া বৈঠকে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মঞ্জুর কাদের কোরাইশী এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি এম. এ. মান্নান অংশ নেন।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১৫, ২০১৩