শনিবার লাশ উদ্ধার ২৬ , মৃতের সংখ্যা ৫৫৮

মে ৫, ২০১৩

Saver-30bg20130504053420ঢাকা জার্নাল: সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ২৬ জনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১১ দিনে উদ্ধার করা মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫৮টি। এখনো অনেক লাশ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ২৬টি গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব লাশের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনাস্থলে স্থাপিত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনার ১১তম দিন শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫৫৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬১ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়েছে।

আগের দিন শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আরো ৪৬ লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা। এদের মধ্যে প্রমীলা, মামুন, জাহাঙ্গীর, তাহসান আহমেদের ও সর্বশেষ রাশিদার নাম জানা গেছে। রাশিদার কাছে থাকা একটি সাদা কাগজ থেকে নাম ও আইডি (আইডি নং ১৪১৫২) নম্বর জানা যায়। তাহসান আহমেদের পকেট থেকে একটি কাগজ ও সেলফোন উদ্ধার করা হয়েছে, তার বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এছাড়া প্রমীলার মৃতদেহের সঙ্গে আইডি কার্ড পায় উদ্ধারকর্মীরা। আইডি কার্ডের তথ্য মতে, রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় সুইং সেকশনে কর্মরত ছিলেন প্রমীলা।

এদিকে, রানা প্লাজার সামনে ও অধরচন্দ্র স্কুল মাঠে শোকাহত স্বজনেরা এখনো অপেক্ষা করছেন তাদের প্রিয় মানুষটির মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার আশায়।

গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে। এতে ব্যাপক প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে আড়াই হাজার শ্রমিককে। ৯ পদাতিক ডিভিশনের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সে সময় ওই ভবনে থাকা ৫টি পোশাক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয়।

ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের পরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়, এখনো হচ্ছে। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভবন ধসের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা করে।

ঢাকা জার্নাল, মে ০৪, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.