বিএনপি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় দল

ঢাকা জার্নাল: বিএনপি দেশবাসীর কাছে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিএনপির বলিষ্ঠ ভূমিকা জনগণের কাছে সমাদৃত হয়েছে। এ কারণেই বিএনপি দেশবাসীর কাছে এখন সর্বাধিক জনপ্রিয় দল।’

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ দাবি করেন।

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত বাণীটি ১ সেপ্টেম্বর (রোববার) বিএনপির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঠানো হয়।

বাণীতে খালেদা জিয়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের সবার জন্য অতীব আনন্দের। ১৯৭৮ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

বাণীতে তিনি বলেন, ‘বাকশালী একদলীয় শাসন অবসান হওয়ার পর দেশে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা পূরণ করতে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনর্প্রবর্তন এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

খালেদা বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি বিগত ৩৫ বছরে বার বার জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের এই প্রিয় দল অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে।’

বিএনপি রাজপথের অতন্দ্র প্রহরী বলেও তিনি বাণীতে মন্তব্য করেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, ‘নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনেও বিএনপি রাজপথে আপসহীন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনর্প্রবর্তন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দেশ ও জনগণের সেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজ দেশে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি নিয়ে চারদিকে হাহাকার। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে চলছে গণহত্যা, গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব।’

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে নির্লজ্জ দলীয়করণের মাধ্যমে নিপীড়িত জনমানুষের আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথও রুদ্ধ। প্রশাসন আজ্ঞাবহ হওয়ার কারণেই স্থবির হয়ে পড়েছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, গায়ের জোরে বাতিল করা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবারও সংবিধানে পুনর্প্রতিষ্ঠা করা।’

এ জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে আন্দোলন সংগ্রামের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা জার্নাল:  আগস্ট ৩১, ২০১৩