বিএনপিতে যোগ দিলেন কনক চাঁপা

আগস্ট ১৬, ২০১৩

kanak-bg20130815121548ঢাকা জার্নাল: বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কনক চাঁপা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৬৯তম জন্মদিনে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাকে জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন কনক চাঁপা।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ ও জাসাসের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিচারপতি আব্দুর রউফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, কবি আব্দুল হাই শিকদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম ও গাজী মাযহারুল আনোয়ার প্রমুখ।

বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে কনকচাঁপা বলেন, দেশের জন্য কাজ করবো বলে অনেকদিন ধরে একটা প্ল্যাটফরম খুঁজছিলাম। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলি। তখন আমি বিএনপিতে যোগাদানের আগ্রহ প্রকাশ করি। তিনি অত্যন্ত খুশি হন। তাই আমি বিএনপিতে যোগ দেই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কনক চাঁপা বলেন, আপনাদের সহযোগিতা চাই। তবে গান ছেড়ে আমি রাজনীতিতে আসেনি। ৩০ বছর ধরে আমি গান করছি। আমি আমার স্রোতাদের জন্য গান করেই যাবো।

তিনি আরো বলেন, আমি মূল সংগঠন বিএনপিতেই কাজ করবো। আসা করি দু’এক দিনের মধ্যে এর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ হবে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নভেম্বর মাসে জাতীয় সংসদের নতুন পাঁচটি সংরক্ষিত নারী আসনে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এতে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ২৪ নভেম্বর সকালে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক মঈনুল ইসলাম খান।

কনকচাঁপার কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু সংসদ সদস্য হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেননি।

এছাড়া সংগীত জীবনে বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোরশেদ কনক চাঁপা একেবারে ছোট বেলাতেই গানে হাতে খড়ি। রেডিওতে কলকাকলি অনুষ্ঠান দিয়ে গান গাওয়া শুরু করেন।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জাতীয় পুরস্কার প‍ান।

পরিবারেই ছিল সঙ্গীতের আবহ। বাবা সখ করে গান করতেন। বাবার কাছেই গানের উৎসাহ পেয়েছেন কনক চাঁপা।

গাই গাইতেন বড় বোনও। নতুন কুঁড়িতে পুরস্কার জেতার পর বাবাই তাকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেওয়ার সুযোগ করে দেন। তার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই শিল্পীকে।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১৬, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.