মঞ্জুর হত্যা মামলায় আদালতে এরশাদ

মে ৩১, ২০১৩

ershad-sm20130530073637ঢাকা জার্নাল: বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত করার অভিযোগ করেছেন মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম।

এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর এ মামলাটি দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলার বয়স ১৮ বছর। মামলাটি শেষ পর্যায়ে আসা সত্ত্বেও এসেও রাষ্ট্রপক্ষ শুধু এরশাদকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই এটি বিলম্বিত করছে।”

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর যুক্তিতর্কের জন্য পাঁচটি তারিখে রাষ্ট্রপক্ষের সময় চাওয়া অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি বিচার বিলম্বিত করার একটি প্রয়াস।”

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান রচি বলেন, “মামলা বিলম্বিত করার অভিযোগটি সত্য নয়। গত দেড় বছরে মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ২৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাকে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে আনা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে বিচারক এরশাদের পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক গ্রহণ করেছেন। ফলে মামলার কার্যক্রম একেবারে থেমে নেই।”

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বদরুল আলম ভুইঞার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন আছে। আগামী ১৮ জুলাই যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার অপর দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

মঞ্জুর হত্যা মামলায় ৪৯ জন সাক্ষির মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ অভিযোগে ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড়ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ জুলাই তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

প্রসঙ্গত: আগামী ১ জুন মঞ্জুর হত্যার ৩২ বছর পূর্ণ হবে। ১৯৮১ সালের এই দিনে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ঢাকা জার্নাল, মে ৩০, ২০১৩

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.