কাজী নাফিসের রায় ৯ অগাস্ট

মে ৩১, ২০১৩

nafis-accused-terroristঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশি যুবক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের কী সাজা হবে- তা জানা যাবে আগামী ৯ অগাস্ট।

নিউ ইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফেডারেল কোর্টে বিচার হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের ফেডারেল কোর্টে নাফিসের আইনজীবী হেইডি সিজার ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রসিকিউটর রিচার্ড টাকারের উপস্থিতিতে বিচারক ক্যারল অ্যামন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের মুখপাত্র রবার্ট নারডোজা জানান, আসামি কাজী নাফিসও এ সময় এজলাসে হাজির ছিলেন।

নাফিস গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত তিনি তছনছ করে দিতে চেয়েছিলেন। আর এ লক্ষ্যেই তিনি বিস্ফোরকভর্তি ভ্যানের সাহায্যে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন।

নাফিস আদালতে আরো বলেন, শিক্ষা ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগেই তিনি ওসামা বিন লাদেনের অনুসারী হন এবং সন্ত্রাসী হামলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, জিহাদের নামে মানুষ হত্যা করা উচিত নয়।

বিচারক তখন নাফিসকে বলেন, এ অপরাধে তার ৩০ বছরের জেল এবং আড়াই লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই কোটি টাকা) জরিমানা হতে পারে। জেল খাটার সময় প্যারোলে মুক্তিরও সম্ভাবনা নেই। এমনকি একবার দোষ স্বীকার করলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলেরও কোন সুযোগ তিনি পাবেন না।

সব শুনেও নাফিস স্বাভাবিক কণ্ঠে বলেন, তিনি বুঝেই দোষ স্বীকার করছেন।

ওইদিন বিচারক নাফিসের মামলার রায়ের জন্য ৩০ মে দিন ঠিক হলেও বৃহস্পতিবার তার রায় পিছিয়ে দেন বিচারক।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ ও এফবিআই কথিত ‘স্টিং অপারেশনের’ মাধ্যমে গত ১৭ অক্টোবর নাফিসকে গ্রেপ্তার করে । তারা জানায়, এই বাংলাদেশি যুবক এক হাজার পাউন্ড বিস্ফোরক দিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার ভ্যানে ‘সত্যিকারের বিস্ফোরক’ না থাকায় সেটি আর ফাটেনি।

গত ১৫ নভেম্বর গ্র্যান্ড জুরি নাফিসের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাদের দেয়া অভিযোগপত্র অনুমোদন করে। এতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্যে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা এবং একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এর ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

গত বছরের জানুয়ারিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব মিসৌরির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নাফিস। কিন্তু সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে ওই কোর্স শেষ না করেই জুনের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে একটি টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি।

এফবিআই নাফিসকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

ঢাকা জার্নাল, মে ৩১, ২০১৩।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.