পাঠ্য বই থেকে শিক্ষা সচিবের কবিতা বাদ যাচ্ছে!

মে ২৬, ২০১৩

D0259577-97D3-4AA2-8A86-72617BA5B676_mw1024_n_sঢাকা জার্নাল: শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কবিতা বাদ যাচ্ছে নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্য বই থেকে। আর নতুন করে সংযোজিত হতে যাচ্ছে বাদ দেওয়া দুই কবির কবিতা।

রোববার সংসদীয় কমিটির সভায় আবদুল হাকিম’র ‘বঙ্গবাণী’ ও আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ’র ‘মাগো ওরা বলে’ কবিতা দু’টি প্রতিস্থাপন করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশ গ্রহণ করলে নতুন সংযোজিত শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল  নাসের চৌধুরীর ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতাটি বাদ দিতে হবে। পাশপাশি অন্য একটি কবিতাও বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ৩৪তম বৈঠকে সভাপত্বি করেন কমিটির সভাপতি  রাশেদ খান মেনন।
বৈঠকে সদস্য হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, হুইপ মির্জা আজম, বীরেন শিকদার, মু: জিয়াউর রহমান এবং আলহাজ্ব মমতাজ বেগম অংশ নেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক।
বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে পাবনা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন বৈঠকে যোগদান করেন।
তবে শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত হননি বৈঠকে।
বৈঠকে বলা হয়েছে, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্য বইতে ৩১টি গল্প কবিতা অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ ভারতীয় অধুনিক লেখক ও কবির গল্প ও কবিতা। তবে সর্বজন গ্রাহ্য কবি লেখকদের ধরা হয়নি এ ১৩ জনের মধ্যে।
বৈঠকে কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন  প্রশ্ন তুলে বলেন, আবদুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’ ও আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘মাগো ওরা বলে’ কবিতা দু’টি বাদ গেলো কিভাবে? তিনি এই কবিতা দু’টিতে ভাষা আন্দোলনের বিষয় রয়েছে উল্লেখ করে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন কবিতাদুটি প্রতিস্থাপনের পক্ষে। সভায় কবিতা দু’টি প্রতিস্থাপনের পক্ষে মতামত জোরালো হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বৈঠকে বলা হয়, কবিতা দু’টি আরো উঁচু ক্লাসে পড়ানোর চিন্তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
জবাবে যেসব অন্য কবিতা নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দূর্বোধ্য সেগুলো উঁচু ক্লাসের পাঠ্য সূচিতে অন্তর্ভূক্ত করতে বলেন রাশেদ খান মেনন।
তবে নতুন সংযোজিত শিক্ষা সচিবের কবিতার বিষয়ে বা শিক্ষা সচিবের বিষয়ে সরাসরি কোন কথাই তোলা হয়নি বৈঠকে।
কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাদ দেওয়া কবিতা পূণস্থাপন করা হলে শিক্ষা সচিবের কবিতা বাদ দিতে হবে। কারণ তার কবিতা অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক উঠেছে।
ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ২০১০ সালের শেষ দিকে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিযুক্ত হন। শিক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্য বই করার উদ্যোগ নেয় সরকার।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী রচিত বইটির ২৫১ নম্বর পৃষ্ঠায় কবি পরিচিতি লেকা হয়। কবি পরিচিতিতে শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর নাম ব্যবহার করা হয় কামাল চৌধুরী।
কবি পরিচিতিতে কামাল চৌধুরীর জন্মস্থান, বাবা-মা, শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, মে ২৬, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.