তারেকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মে ২৬, ২০১৩

tareq-rahmanঢাকা জার্নাল: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সাবেক রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে তারেক রহমানকে দুর্নীতি মামলায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এ আদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক।

এর আগে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ আবেদন করেন।

৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মোজাম্মেল হক আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ করেন।

তারেক রহমান এ মামলার ফেরারি আসামি। তার বিরুদ্ধে ইংরেজিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে এ মামলায় আদালতে হাজির করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য এ আবেদন করা হয়।

ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের আবেদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।

এর আগে গত ৯ মে মামলার দশম সাক্ষি সোনালী ব্যাংক ক্যান্টনমেন্ট কর্পোরেট শাখার নির্বাহী অফিসার বিভুতি ভূষণ সরকারের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

চার্জশিট দাখিলের ১ বছর পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে এর আগে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এরা হলেন, বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মামলাটির রেকর্ডিং অফিসার হোসনে আরা বেগম, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেসটিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট মিস ডেবরা লেপরোভেট, ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আলীমুজ্জামান, গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন, নির্মান কনস্ট্রাকশন কোম্পানির চেয়ারপারসন খাদিজা ইসলাম, সপ্তম সাক্ষী পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ করিম, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সৈয়দ এহসানুল হাফিজ ও সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন।

এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.