বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে ‘মহাসেন’

মে ১৩, ২০১৩

fc-1788ঢাকা জার্নাল: উপকূলের দিকে ধেয়ে দ্রুত আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’।

মঙ্গলবার অথবা বুধবারেই এই ঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

সোমবার দুপুর ৪টায় মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এগার শত কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সমূদ্রবন্দরসমূহে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (ক্রমিক নম্বর-১২) এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি’র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি:মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

নিম্নচাপ থেকে শনিবার সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

তৃতীয় শতকে শ্রীলঙ্কা শাসন করা রাজা মহাসেনের নামে এই ঝড়ের নামকরণ ‘মহাসেন’ করেছে এস্কাপ (ইএসসিএপি) প্যানেল। তথ্য সংরক্ষণ ও বোঝানোর সুবিধার জন্য ঝড়গুলোর নাম আগেই ঠিক করে রাখা হয়।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত  দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যšত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা  হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩০০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৩০ কি.মি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২০ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাইক্লোনের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, “মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।”

দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কি.মি. পর্যন্ত উঠতে পারে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.