রানার অজানা তথ্য!

মে ৯, ২০১৩

raba

ঢাকা জার্নাল- অভিশপ্ত ‘রানা প্লাজা’র মালিক এই রানাই সেই রানা। ‘রানা ভাই’ নামে মালয়েশিয়ায় যাকে অনেকে চিনেন। পত্রিকায় ছবি দেখে অনেকে বলেছেন- এই রানাই ২০০৭ এর কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার লোক আনে। যাদের অনেকেই সেদিন চাকুরী না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেন। মালয়েশিয়ায় রানা ‘রানা ভাই’ নামেই বেশী পরিচিত। মালয়েশিয়ায় রানা প্রথম শ্রেনীর দালাল। এক সময় তিনি এদেশে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। জানা গেছে, রানার নিজস্ব কোন রিক্রুটিং লাইসেন্স না থাকলেও সে মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসার ডিমান্ড ও এপ্রোভেল কপি বাংলাদেশের বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সীর কাছে চড়া দামে বিক্রী করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। একেক কোম্পানীতে অতিরিক্ত শ্রমিকের ডিমান্ড লেটার বের করেন। ঐ সব কোম্পানীতে অতিরিক্ত শ্রমিকরা চাকুরী না পেয়ে অনেকেই বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ব্রীজের নীচে রাত কাটিয়েছেন। জানা গেছে, হাইকমিশনের সাবেক লেবার কন্সুলার তালাত মাহমুদ খাঁনের সাথে সোহেল রানার সুসম্পর্ক থাকায় সহজেই বিভিন্ন ভূয়া কোম্পানীতে হাইকমিশন থেকে শ্রমিক প্রেরণের এটাশটেশন করিয়ে নিতে পেরেছেন।
অনেকে মনে করেন, ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হাজারো গরীব মানুষের টাকাতেই তিনি ২০১০ সালে গড়ে তুলেছিলেন, পাপের ‘রানা প্লাজা’। কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী এনায়েত বলেন, ‘রানা ভাই গত কলিং ভিসায় হাজার হাজার লোক আনেন। পরে এদের অনেকেই চাকুরী না পেয়ে এদেশে অবৈধ হয়ে এখানে সেখানে চলে গেছে।’ জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় গত কলিং ভিসায় যে ক’জন রাঘব বোয়াল দালাল ছিল রানা ছিল তাদের অন্যতম। তবে রানার ঘনিষ্ঠ মহলের সাথে যোগাযোগ করা হলে এখন উদ্ভট ঝামেলার আশংকায় তার প্রসঙ্গে অনেকে মুখ খুলতে চান না। এ ব্যাপারে বিতর্কিত ‘বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন’এর সদস্য সচিব ডা. শংকর কুমার পোদ্দারের কাছে রানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি চিনি না’।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.