সাভার ট্র্যাজেডি : ৫ শতাধিক লাশ উদ্ধার

মে ২, ২০১৩

savar-dead-body-bg20130501233042ঢাকা জার্নল: সাভারে ভবন ধসের ঘটনায় ৫ শতাধিক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ৬২ জন। এ সময়ের মধ্যে সভারের ভবন ধসের ঘটনায় মোট ৪৮৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হল। এরপর সকাল আট থেকে আরো লাশ উদ্ধার হলে তা ৫ শতাধিক ছাড়িয়ে যায়।

এ পর্যন্ত জীবিত ২৪৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বর্তমানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকারীরা ক্রেনসহ আরও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান হিসেবে অভিহিত এ ধাপের উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের অধীনে প্রকৌশল বিভাগ, বিমান বাহিনী, নৌ-বাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্ট।

সহযোগিতা করছেন আনসার, র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা।

মঙ্গলবার সকালেও অধর চন্দ্র বিদ্যালয়ে আপনজনের মরদেহ বুঝে নিতে অপেক্ষা করেন শোকাহত স্বজনরা। পরিচয় শনাক্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে মরদেহ।

উল্লেখ্য, রোববার রাত দশটার দিকে জীবিত চারজনকে উদ্ধারের প্রাথমিক প্রচেষ্টা হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের কারণে ভেস্তে গেলে কর্তৃপক্ষ ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উদ্ধার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।

ওই সময় পর্যন্ত জীবিত থাকা নারী গার্মেন্টস শ্রমিক শাহানাকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা শেষ পর্যায়ে ছিল।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আইএসপিআরের রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ের পর রোববার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হয় উদ্ধার কাজে ভারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার।

তবে আগের অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট ধোঁয়ার কারণে ব্যাঘাত ঘটে উদ্ধারকাজ। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে আবার পুরোদমে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরেক দফা আগুন লাগলেও সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনে উদ্ধারকর্মীরা।

ইতোমধ্যে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ওই ভবনের মালিক, মালিকের বাবা, ভবনে অবস্থিত কারখানাগুলোর মালিক ও সাভার পৌরসভার প্রকৌশলীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত রোববার দুপুরে বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করা হয় ভবনের মালিক সোহেল রানাকে। আর সোমবার দুপুরে রানার বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কলু খালেককে গ্রেফতার করা হয় রাজধানীর মগবাজার থেকে।

গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে।

সাভার পৌর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার মালিকানাধীন এই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও পোশাকের দোকানের পাশাপাশি তৃতীয়তলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত ছিলো গার্মেন্টস কারখানা। এগুলোতে কাজ করতেন কয়েক হাজার শ্রমিক।

ঢাকা জার্নাল, মে ৩, ২০১৩

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.